• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম

নির্মাণাধীন ভবনে এডিস লার্ভা পেলেই ব্যবস্থা : সাঈদ খোকন

নির্মাণাধীন ভবনে এডিস লার্ভা পেলেই ব্যবস্থা : সাঈদ খোকন
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন মেয়র সাঈদ খোকন-ছবি : জাগরণ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, অন্যান্য জায়গার তুলনায় নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে এডিস মশার প্রজনন অনেক বেশি। তাই যেসব নির্মাণাধীন ভবনে পানি জমে থাকার ফলে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেসব ভবনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। 

সোমবার (২২ জুলাই) সোমবার দুপুরে  ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ-খবর নিতে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা বলেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন।

মেয়র বলেন, নির্মাণাধীন ভবন মালিক এবং কর্তৃপক্ষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে যাতে কাজ চলার সময় কোনোভাবেই ভবনে পানি না জমে এবং এডিস মশার লার্ভা বংশ বিস্তার করতে না পারে। যেসব ভবন মালিকরা নগর কর্তৃপক্ষের এ কার্যক্রমে সাড়া দিচ্ছেন না তাদের আমরা চিহ্নিত করছি। এমন ভবনগুলোতে প্রয়োজনীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে নগর কর্তৃপক্ষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। আজ থেকে এসব মোবাইল কোর্ট চলবে যতদিন পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়।

মেয়র আরও বলেন, আমাদের ৫৭ টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা যাচ্ছেন। যে বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তা ধ্বংস করে পরিষ্কার করে দিয়ে আসছেন এবং ভবিষ্যতের এডিস মশার লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে।

মেয়র বলেন, আমাদের টার্গেট ১৫ দিনের মধ্যে ২৫ হাজার বাসা-বাড়ি এডিস মশার লার্ভা মুক্ত করা। সে জন্য ৬৮টি মেডিকেল টিম পাড়া-মহল্লায় কাজ করছে।

এরইমধ্যে ২৫ হাজারের ঊর্ধ্বে ডেঙ্গু রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকগণ, করপোরশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মেয়র চিকিৎসকদের সাথে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

টিএইচ/একেএস

আরও পড়ুন