এ পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদরে আটজন এবং শৈলকুপায় একজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের তিনজন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, পাঁচজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আর এক ছাত্র চিকিৎসা না নিয়েই শৈলকুপা থেকে ঢাকা চলে গেছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। চিকিৎসকরা ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সদর হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার শনাক্ত উপাদান না থাকায় বাইরে থেকে তা পরীক্ষা করতে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে বলে রোগীর অভিভাবকরা জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার শনাক্ত উপাদান না থাকায় বাইরের ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করেছেন চিকিৎসকেরা।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জাকির হোসেন জানান, তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এ রোগে আক্রান্তদের বেশিরভাগ কোনো না কোনোভাবে ঢাকা থেকে আসা মানুষ।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহনেওয়াজ কাশেম জানান, এক ছাত্র ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ নিয়ে চিকিৎসার জন্য এলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে বলা হয়। চারদিন আগেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু ঢাকায় তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলছে বলে সে হাসপাতাল ত্যাগ করে বিধায় তার চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি।
ওই চিকিৎসক জানান, জ্বর, পেটে ব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বা এ জাতীয় উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে যে কোনো সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ঝিনাইদহ পৌরসভার সচিব মোস্তাক আহমেদ জানান, ডেঙ্গু রোগী প্রতিরোধে প্রতিটা ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়েছে যাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে হাসপাতালে গিয়ে দ্রুত চিকিৎসা নেন। পৌর এলাকার বাড়িঘর ও দোকানের আশপাশের এলাকা পরিষ্কার ও জলমুক্ত রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের পাশাপাশি মশক নিধনের কার্যক্রমও পৌর কর্তৃপক্ষ জোরদার করেছে।
কেএসটি