ঈদুল আযহা আসন্ন। আর এক সপ্তাহ পরই কুরবানির ঈদ। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের সবকটি মেট্রোপলিটন এলাকায় ঈদে পশুরহাটের সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। নেয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাটকে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এরই মধ্যে রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাটগুলো সাজতে শুরু করেছে।
অপরদিকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। বন্দর নগরীর প্রতিটি পশুর হাটে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি প্রথম বারের মত ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ও নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, হাটগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন থাকবে। জনদুর্ভোগ ও যানজটের কথা চিন্তা করে এবার নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে রাস্তায় হাট বসালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এফডিসির অনুষ্ঠান শেষে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো এলাকা সিসি টিভির আওতায় থাকবে। পুলিশ জানিয়েছে, হাটে প্রবেশ পথ, ক্যাশ কাউন্টার ও আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে সবসময় মনিটরিং করা হবে। কাউকে সন্দেহ হলে তল্লাশি করা হবে। উত্তর সিটি করপোরেশনে থাকছে পশুর হাট ৯টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে থাকছে ১৪টি। এরই মধ্যে বেশির ভাগ হাটের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে ইজারাদাররা জানিয়েছেন।
শনিবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন হাট ঘুরে আরও দেখা গেছে, মাটি খুঁড়ে বসানো হচ্ছে খুঁটি। সামনের দিকে চলছে প্যান্ডেলের কাজ। পুলিশ কন্ট্রোলরুমে সিসি ক্যামেরার কাজ পুরোদমে চলছে। নিরাপত্তার জন্যই এগুলো করা হচ্ছে। প্রতিটি হাটে ২০ থেকে ২৫টি ক্যামেরা সচল থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোনো রকম হয়রানি বা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে। কোনোভাবেই নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে হাট বসানো যাবে না।
অন্যদিকে বন্দর নগরীর বিষয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পশুবাহী ট্রাক তল্লাশির আওতামুক্ত থাকবে। তবে সড়কের উপর পশুবাহী ট্রাক না রাখা এবং পশু ওঠানামা না করতে পারে সে দিকে নজর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, পশুর হাট ছাড়াও ঈদের আগে এবং পরে ছিনতাই, চাঁদাবাজিরসহ কোন রকম অপরাধ কর্মকাণ্ড যেন গঠতে না পারে সে জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণের মেশিন বসানোর পাশাপাশি মানি এস্কর্ট সুবিধাও থাকবে। বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
এইচ এম/বিএস