ঈদ আনন্দ নেই ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুবরণকারী হবিগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন মো. শাহাদাত হোসেন হাজরার পরিবারে। ৫৩ বছর বয়সী এই চিকিৎসক গত ২১ জুলাই রাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত ৯ জুলাই শাহাদাত হোসেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা থেকে পদোন্নতি পেয়ে হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। তার পরিবার ঢাকার ফার্মগেটে থাকেন। বাসায় কিছুদিন ছুটি কাটানোর পর গত ২০ জুলাই তিনি জ্বর নিয়ে কর্মস্থলে যোগদান করেন। ২১ জুলাই তিনি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অংশ নেন। দুপুরে জ্বর বেড়ে গেলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে দৈনিক জাগরণের সঙ্গে কথা হয় শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী শামসুন্নাহারের। ঈদ প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, নাহ্, মানসিকতা ওইভাবে নেই তো....।
গৃহিনী শামসুন্নাহার জানান, তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে ইরফান আবিদ সিরাজগঞ্জস্থ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। মেয়ে ইসরাত আনিকা ঢাকার তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।
শাহাদাত হোসেন, শামসুন্নাহার এবং আনিকা- এ তিনজনই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু শামসুন্নাহার ও আনিকার ডেঙ্গু রক্ত পরীক্ষায় ধরা যখন পড়েছিল, তখন শাহাদাত হোসেনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়নি।
শামসুন্নাহার বলেন, আমাদের তিনজনেরেই জ্বর ছিল। ওরটা (শাহাদাত হোসেন) পরীক্ষা করা হয়নি।
বর্তমানে মা-মেয়ে সুস্থ আছেন।
দিনকাল কেমন যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে শামসুন্নাহার বলেন, যেমন যাওয়া উচিৎ।
স্বামীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই নারী বলেন, অল্পদিন বাঁচবে, অল্পদিনেই মানুষের মন জয় করে ফেলছে তো.....
পবিত্র ঈদুল আজহা ফার্মগেট বাসাতেই তারা অবস্থান করবেন।
আরএম/বিএস