
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অস্থায়ীভাবে থাকা-খাওয়াসহ সার্বিক সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের জন্য পার্শ্ববর্তী পাঁচটি স্কুল ঘর অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় তিনি পুড়ে যাওয়া বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে আগুনে পোড়া যাওয়া মিরপুরের চলন্তিকা বস্তি পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি এই আশ্বাস দেন। এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবাশ্বের চৌধুরী ও রজ্জব হোসেন, লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আগুনে পুড়ে যারা সর্বস্বান্ত হয়েছেন তাদের জন্য সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যতদিন এই ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করা সম্ভব না হবে ততদিন পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
আতিক বলেন, ঢাকা মহানগরে বস্তিবাসীদের বসবাসের জন্য বাউনিয়া বাঁধে স্থায়ীভাবে আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকার সব বস্তিবাসীদের স্থানান্তর করা হবে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বস্তিতে লাগা ভয়াবহ আগুন সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরোপুরি নির্বাপিত হয় রাত দেড়টার দিকে। বস্তির অধিকাংশ ঘর টিনশেড হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। আগুনের ওই ঘটনায় চারজন আহত হন। তারা হলেন কবির (৩৫), হাবিব (১৯), রফিক ও শরিফ। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
টিএইচ/এসএমএম