
অবশেষে আজ (শনিবার, ৩১ আগস্ট) প্রকাশিত হচ্ছে ভারতের আসাম রাজ্যের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা। সবকিছু ঠিক থাকলে সকাল ১০টায় প্রকাশিত হচ্ছে এনআরসির এই চূড়ান্ত তালিকা।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে জানা যায়, এনআরসি নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে আসামবাসী। এ যেন কার্যত ভাগ্যপরীক্ষা। কাদের নাগরিকত্ব বহাল থাকছে আর বাদ পড়ছে কারা, কি অপেক্ষা করছে উপেক্ষিতদের- এমনই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ।
এর আগে, গত বছরের ৩০ জুলাই ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসির) তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল প্রায় ৪০ লাখ আবেদনকারীর নাম। চলতি বছরেরও প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার আবেদনকারীর নাম বাদ পড়ে। এহেন পরিস্থিতিতে আজ নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকে ঘিরে সরগরম আসাম। তবে এই তালিকা প্রকাশকে ঘিরে যাতে কোনওরকম অশান্তির আবহ তৈরি না হয়, সে কারণে রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে আসাম রাজ্য সরকারের পক্ষ জানানো হয়েছে, নাগরিক নিবন্ধন থেকে বাদ পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য বিনা খরচে আইনি প্রক্রিয়া পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া অন্যায্যভাবে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখা হবে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে সেই সব নবজাতকদের কি হবে যাদের নাম এই তালিকায় ঠাই পাবে না? তালিকা ঘোষণার পর যেসব সমস্যা সামনে আসবে সেগুলো খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধারণেরও অনুরোধ করা হয়।
সংক্ষেপে জেনে নিন এনআরসি কি
•এনআরসি হল একটি স্বাধীন ও প্রযুক্তিগতভাবে পরিচালিত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা যাবে। এ প্রক্রিয়া চালিত হচ্ছে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে। কিন্তু এনআরসির নিয়মানুসারে কোনও ব্যক্তি যদি বিদেশি ট্রাইব্যুনাল দ্বারা বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকেন, কোনও ব্যক্তি যদি স্থানীয় নির্বাচনি আধিকারিক দ্বারা ডি ভোটার বলে চিহ্নিত হয়ে থাকেন অথবা যদি কোনও ব্যক্তি বা তাঁর উত্তরসূরির যদি লিগ্যাসি সংক্রান্ত বিষয় বিদেশি ট্রাইবুনালে মুলতুবি থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এনআরসি আপডেট প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা হবে •
অন্যদিকে, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা এবং একে ঘিরে বাংলা ভাষাভাষী অধ্যুষিত বরাক উপত্যকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এনআরসির সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে আসাম চুক্তির ৬-নম্বর ধারা বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ষাটের দশক থেকে চলে আসা পৃথক বরাকের দাবি আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে ধারনা বিশিষ্টজনদের।
এসকে/ একেএস