কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪ জনে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩৯ জন। আর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২১ জনে।
আক্রান্তদের ৫০ ভাগই ঢাকার বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
নতুন করে ৪ জেলায় করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান গত ২৪ ঘন্টায় ১৭টি জায়গায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩৪০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন। মৃত ৪ জনের ২ জন ঢাকায়, ২ জন ঢাকার বাইরের।
ঠাকুরগাঁও, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, এবং ঝালকাঠি এই জেলায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে ভাইরাসটির সংক্রমণ। গেল ৯ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় দেশে শতাধিক করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর থেকে শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যা।
রোববার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮২৮ জন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৩১৫ জনের শরীরে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৩১ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৬ জন। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৪ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ৫০ হাজার ৫৯২ জনের অবস্থা গুরুতর।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৫২ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩৯ জন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তে সংখ্যা ৭০ হাজার ২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩৫৭ জনের।
ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন পরিস্থিতি সামলে আনলেও এর আক্রমণে বিশ্বের অন্যান্য দেশ টালমাটাল।
এসএমএম