দেশে কোভিডি-১৯ এআক্রান্ত হয়ে প্রথম শিশুর মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়ায়।
রোববার (১২ এপ্রিল( দিবাগত রাত আড়াইটায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ৬ বছর বয়সী শিশুটি মারা যায়।
দেশে ১০ বছরের নিচে কোনও শিশুর প্রথম মৃত্যু এটি।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশে রোববার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সর্বনিম্ন বয়স ছিল ৩২ বছর। ফলে এটি বাংলাদেশে ১০ বছরের নিচে প্রথম মৃত্যু বলা যায়।
আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, রাতে শিশুটিকে টার্মিনাল স্টেজ অর্থাৎ মারা যাবার আগ মুহূর্তে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
হাসপাতালে ভর্তির ২০ মিনিটের মধ্যেই শিশুটি মারা যায়।
শিশুটির বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়াতে। গত কয়েকদিন ধরেই সে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।
এক পর্যায়ে চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হলে রোববার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিপোর্ট পাওয়া যায়, শিশুটি কোভিড-১৯ পজিটিভ।
তখনও শিশুটি কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়নি।
ডা. নাথ বলেছেন, রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটিকে পটিয়া থেকে আন্দরকিল্লায় ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তিনি জানান, শিশুটি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। তবে তার অন্য কোনও রোগের ইতিহাস ছিল কিনা সে সম্পর্কে বলতে পারেননি ডা. নাথ।
তিনি জানান, শিশুটি কীভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, সে সম্পর্কে হাসপাতালে কোনও তথ্য নেই।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট মানুষের সংখ্যা ১৪ জন।
চট্টগ্রামে যে কয়েকটি জায়গায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা করা হয় আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল তার অন্যতম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে করোনাভাইরাসে শিশুরা তুলনামূলকভাবে কম আক্রান্ত হয় বলে সংস্থাটি দেখতে পেয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ছিল দশমিক ৭ শতাংশের মত। বিবিসি বাংলা।
জেডএইচ/এসএমএম