• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২০, ০২:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২০, ০৩:২৬ পিএম

কোভিড-১৯

মৃতের সংখ্যা দেড়শ ছাড়াল, নতুন শনাক্ত ৪৯৮

মৃতের সংখ্যা দেড়শ ছাড়াল, নতুন শনাক্ত ৪৯৮
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ● ওয়েবসাইট

আক্রান্তের ৫১তম দিন

............

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। যা রোববারের (২৬ এপ্রিল) তুলনায় ৮০ জন বেশি। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ হাজার ৯১৩ জনে।

একই সময়ে মারা গেছে আরও ৭ জন। রোববার মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৫ জন। সব মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্য ১৫২ জন। যে ৭ জন মারা গেছে তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫ জন, একজন সিলেট ও একজন রাজশাহীর। মারা যাওয়া ৫ জনের বয়স ষাটোর্ধ্ব। একজনের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। একজন শিশু মারা গেছে যার বয়স ১০ বছরের নিচে।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন সুস্থ হয় বাড়ি ফিরে গেছেন। এ পর্যন্ত ১৩১ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩টি কেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ১৯২ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে তিন হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯৮ জনের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষা গতকালের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫০ হাজার ৫০১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে এসেছে ৮৫ জন এবং বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ২২০ জন। এই সময়ে আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯ জন এবং এ পর্যন্ত ৭৩৮ জন ছাড় পেয়েছেন।

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৪০১ জন।

এখনও পর্যন্ত ঢাকা শহর ও ঢাকা জেলাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এখনও পর্যন্ত ৬১টি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে।

যে তিনটি জেলায় এখনও কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায় নি সেগুলো হলো খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও নাটোর।

এর আগে নাটোরে যে এক জন আক্রান্তের কথা বলে হলেও তিনি আসলে ঢাকার বাসিন্দা বলে জানানো হয়।

ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেগুলো হলো যথাক্রমে রাজারবাগ, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, মোহাম্মদপুর, বংশাল, মহাখালী এবং মিটফোর্ডে একই সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। মিরপুর-১৪ এবং তেজগাঁ এলাকায় একই সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি আছে।

ওয়ারী, শাহবাগ, কাকরাইল এবং উত্তরায়ও একই সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। এসব এলাকাতেই এখন সর্বাধিক পরিমাণ আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে।

গত ৪ দিনের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৪ বিভাগে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বৃহস্পতিবারের রাতের হিসাব অনুযায়ী, মোট রোগীর ৫০ দশমিক ৫৯ শতাংশই ঢাকা শহরে। আর ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় আছে ৩৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিভাগে ৩.৮৩ শতাংশ, সিলেটে ১.২ শতাংশ, রংপুরে ১.৭২ শতাংশ, খুলনায় দশমিক ৯৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৩.৪১ শতাংশ, বরিশালে ২.১১ শতাংশ এবং রাজশাহীতে দশমিক ৭৯ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে।

২৫ এপ্রিল দেখা গেছে, মোট রোগীর ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশই ঢাকা শহরে। আর ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় আছে ৩৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৬ শতাংশের বেশি ঢাকা বিভাগে। এই সময়ে চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে রোগী বেড়েছে।

এ তিনটিতে দেশের মোট রোগীর মধ্যে বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৯৩, ১ দশমিক ৬০ এবং ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

চার দিন পর রংপুরে হয়েছে ১ দশমিক ৬৬, খুলনায় দশমিক ৮৮, বরিশালে ১ দশমিক ৯৯ এবং রাজশাহীতে দশমিক ৭৬ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে।

রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও ঝিনাইদহে এখনও সংক্রমণ হয়নি। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে সাতক্ষীরায়। অর্থাৎ দেশের ৬১টি জেলায় এখন করোনা রোগী রয়েছেন।

আক্রান্তরা বেশিরভাগই বাড়িতে থেকে টেলিফোনে স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছেন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত ২৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৬ হাজার ৯৯০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৬ জন।

রোববার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছিল ৫ হাজার ৪১৬ জনের শরীরে এবং মারা গেছেন ১৪৫ জন ও সুস্থ হয়েছেন ১২২ জন।

বর্তমানে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে ১৯ লাখ ৮ হাজার ৯২৮ জনের শরীরে। এর মধ্যে ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৩২৫ জনের শরীরে রয়েছে মৃদু সংক্রমণ ও ৫৭ হাজার ৬০৩ জনের শরীরে অবস্থা গুরুতর।

যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৬০ জনের শরীরে। সেখানে মারা গেছেন ৫৫ হাজার ৪১৩  জন।

স্পেনে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৬২৯ জনের শরীরে এবং সেখানে মারা গেছেন ২৩ হাজার ১৯০ জন।

এসএমএম

আরও পড়ুন