করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর প্রভাবে কক্সবাজারে পর্যটক না থাকায় কমেছে সমুদ্রের দূষণ। সাগরের স্বচ্ছ পানি আর ঢেউয়ের গর্জনে মুগ্ধ স্থানীয়রা।
নানা ধরনের লতাগুল্মে ভরে উঠেছে সৈকত এলাকা। ভবিষ্যতেও এই সৌন্দর্য ধরে রাখার আহ্বান পরিবেশকর্মীদের।
বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতে দেড় মাস আগেও ছিল পর্যটকের আনাগোনা। ৩৩ বর্গকিলোমিটারের কক্সবাজার শহরে গড়ে উঠেছে সাড়ে চারশোর মতো হোটেল ও মোটেল। এর মধ্যে বেশির ভাগের বর্জ্যই সরাসরি গিয়ে পড়তো সমুদ্রে। এমনকি ব্যবহার শেষে প্লাস্টিক দ্রব্যও ফেলা হতো সাগরের পানিতে।
আর এরই মধ্যে করোনার প্রভাবে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। সুনশান নিরব সৈকতে এখন শুধুই ঢেউয়ের গর্জন। এমন স্বচ্ছ পানিও দেখা যায় খুব কমই। তাই সমুদ্রের এই রূপ দেখে মুগ্ধ স্থানীয়রা।
তবে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন পরিবেশ কর্মীরা। আর পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে সৈকতের এই প্রাকৃতিক রূপ ধরে রাখার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
বছরে অন্তত ১৫ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে কক্সবাজারে। বিশেষ উৎসবে একদিনেই থাকে এক লাখের বেশি মানুষ।
এসএমএম