• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১, ১১:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১, ১২:১৭ পিএম

বাজারদর

বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্যের দাম

বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্যের দাম

ভারত থেকে আমদানির পরও কমেনি চালের দাম। আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের তেল ও মুরগি। তবে কিছুটা স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। ক্রেতাদের ক্রয়সীমার মধ্যে রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। রোজার আগে দাম কমার সম্ভাবনার নেই বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজি থেকে শুরু করে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। ক্রেতাদের সমাগমও আছে বেশ। সবজির দাম নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করলেও চাল, তেল ও মুরগির দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা।

পাইকারি চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই বাড়তি দামে সব ধরনের চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৩ টাকায়, নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬৬ টাকায়, স্বর্ণা (পাইজাম) ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায়, স্বর্ণা (গুটি) ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায় এবং আটাশ ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দামের এমন ঊর্ধ্বগতি চলছে।

চালের দামে লাগাম টানতে ভারত থেকে চাল আমদানি করেছে সরকার। কিন্তু তার কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। এ জন্য আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটকেই দুষছেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা জানান, আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম কমছে না। এ সিন্ডিকেট না ভাঙলে এবং আরো চাল আমদানি না করলে কয়েক মাস এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে।

অন্যদিকে বাজারের অস্থিরতা কমাতে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামের মধ্যে তেল বিক্রি করলেও তা ক্রয়সীমার বাইরে বলে জানিয়েছে ক্রেতারা।

বর্তমানে বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়বিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা, পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১০২ টাকা। পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা, বসুন্ধরা বিক্রি হচ্ছে ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা, তীর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬১০ টাকা এবং রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা।

গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫ টাকা। এছাড়া সোনালী বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা, হাঁস ৩৫০ টাকা এবং কবুতর ১৩০ টাকা।

দাম বাড়তির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, খামারিরা সিন্ডিকেট করে মুরগি কম পরিমাণে উৎপাদন করছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেই। সরবরাহ কম হওয়ার কারণে খামার থেকে বাড়তি দামে মুরগি কিনে আনতে হচ্ছে এবং বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। রোজার আগে এ দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা বলেন, ‌“যার যেমন ইচ্ছা দাম বাড়াচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই। শুধু দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবজির দাম এখন কিছুটা কম থাকলেও কতদিন এমন থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।”

বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে প্রতি পিছ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা, ব্রকলি ১০ টাকা, লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি মূলা ১০ টাকা, শিম ২০ টাকা, বেগুন ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শালগম ১০ টাকা, টমেটো ১৫ থেকে ২০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, শিমের বিচি ৮০ থেকে ১২০ টাকা এবং লেবুর হালি ৪০ টাকা।

অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। প্রতি হালি মুরগির ডিম ৩০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা দাম কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, চীনা পেঁয়াজ ১৫ টাকা, আলু ১৫ টাকা। এছাড়া আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।