
গ্রন্থমেলার প্রবেশপথে সবার মুখে মাস্ক দেখা গেলেও ভেতরে ঢুকে তা পরা নিয়ে উদাসীনতা দেখা গেছে অনেক দর্শনার্থীদের। অনেকেই মেলার ভেতরে ঢুকে মাস্ক খুলে ফেলছেন। স্টলের দায়িত্বে থাকা বিক্রেতাদের মাস্ক নিয়ে উদাসীনতা দেখা গেছে।
রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবারের বইমেলায়। প্রবেশমুখে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতেই দিচ্ছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা। তারপর দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী বইমেলার দুই অংশেই মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধির ওপর। বিশেষ করে মাস্ক ও সামাজিক দুরত্ব।
বইমেলার ভিতরের অংশে কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তারা জানান, মাস্ক আমাদের সবার কাছে রয়েছে কিন্তু সবসময় লাগিয়ে রাখতে মন চায় না। তা ছাড়া প্রচুর গরম হওয়ায় সবসময় মাস্ক পড়ে থাকতে ভালো লাগে না।
বাবুই প্রকাশনীর কর্ণধার কাদের বাবু জাগরণকে বলেন, “আমরাও আমাদের জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষকে মাস্ক পরার ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বলছি।”
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনের কর্ণধার ফরিদ আহমেদ জাগরণকে বলেন, “খুব কম দর্শনার্থী আছেন যাদের মুখে মাস্ক নেই। বাংলা একডেমি আমাদেরকে বলেছে এ বিষয়ে সচেতন করার জন্য। আমাদের সমিতি থেকেও আমরা নোটিশ করে দিয়েছে সমস্ত সদস্যদেরকে মাস্কবিহীন যাতে কেউ না থাকে।”
বইমেলার তৃতীয় দিনে দর্শকদের আনাগোনা মোটামুটি বাড়লে এখন বিক্রির তেমন সাড়া পাচ্ছেন না প্রকাশকরা। মেলায় আজ ৮১টি নতুন বই এসেছে। চারদিনে সর্বমোট ২৪০টি নতুন বই এসেছে।
এদিকে বইমেলায় প্রথমবারের মতো স্টল দিয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব। রোববার বিকেলে এই স্টলের উদ্বোধন করলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী প্রমূখ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের স্টল উদ্বোধন শেষে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) স্টল উদ্বোধন করেন। এসময় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানীসহ সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের মতো আজকেও লেখক বলছি মঞ্চে কথা বলেছেন লেখকরা। বইমেলা ও সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন লেখক মুম রহমান, চলচ্চিত্র গবেষক বিধান রিবেরু, কবি শতাব্দী এষ। আয়োজনটির উপস্থাপনা করেন স্বকৃত নোমান, মনি হায়দার ও মোজাফফর হোসেন।