রাজধানীর বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে চলতি মৌসুমের চাল। ফলে ধীরে ধীরে দাম কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির। নাজিরশাইল ছাড়া প্রায় সবধরনের চালের দাম কেজি প্রতি দুই টাকা কমেছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে ফের বেড়েছে মুরগির দাম।
শুক্রবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা। গত সপ্তাহে এই জাতের চালের কেজি ছিল ৫৮ টাকা। অর্থাৎ, কেজিতে দুই টাকা কমেছে মিনিকেট চালের দাম।
এছাড়া গত সপ্তাহে ৪৪ টাকা বিক্রি হওয়া স্বর্ণা (গুটি) এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকা। গত সপ্তাহে ৪৭ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া স্বর্ণা (পাইজাম) এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৬ টাকা।
তবে এখন নাজিরশাইলের মৌসুম না হওয়ায় এই জাতের চাল আগের মতোই ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, বিভিন্ন জাতের চাল বাজারে আসছে। তাই দামও কমতে শুরু করেছে। তবে কানাঘুষা শুনা যাচ্ছে ঈদের পর ফের চালের দাম বাড়তে পারে।
এদিকে গত সপ্তাহে কিছুটা কমার পর ফের মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা, সোনালী ২৭০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১২৫ থেকে ১৪০ টাকা, সোনালী ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা এবং লেয়ার ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। হাঁস পিছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কবুতর ১২০ টাকা।
মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে জিয়াউল হক জিয়া নামের এক বিক্রেতা বলেন, “সামনে ঈদ। বাজারে মুরগির চাহিদা বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় সরবরাহ নেই। তাই দাম বেড়েছে। এছাড়া ঈদের আগে এমনিতেই দাম একটু বাড়ে।”
মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। বর্তমানে প্রতি হালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে মুরগির ডিমের হালি ছিল ২৮ টাকা এবং হাঁসের ডিমের দাম ছিল ৪০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজি।
ভোজ্যতেলের দাম আগের মতোই আছে। বর্তমানে রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬৬০ টাকা, তীর ৬৪০ টাকা, পুষ্টি ৬৩০ টাকা, বসুন্ধরা ৬৩৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা লিটার এবং পাম বিক্রি হচ্ছে ১০৮ টাকা লিটার।
সবজির বাজার কিছুটা স্থিতিশীল আছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, সজনে ডাটা ১৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা। প্রতি পিস কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, চালকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৫০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা।