• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২১, ১০:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০২১, ১০:৪৪ এএম

চালের দামে স্বস্তি, বেড়েছে পেঁয়াজ

চালের দামে স্বস্তি, বেড়েছে পেঁয়াজ

ঈদের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন বাড়ার পর এবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। পাইকারি, খুচরা বাজারে কমেছে চাল ও মুরগির দাম। তবে পেঁয়াজের দামে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে ক্রেতাদের। তেল ও সবজির দামে তেমন কোনো তারতম্য দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে বাজারদর নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।

শুক্রবার (২১ মে) সকালে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের চালের দামই কমেছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা। প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। স্বর্ণা (গুটি) এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। স্বর্ণা (পাইজাম) বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়। 

পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন মোটা চাল প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, বিআর আটাশ চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে বোরো মৌসুমের নতুন চাল উঠছে। এতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে।

খুচরা বাজারে নতুন মৌসুমের মোটা চাল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা, বিআর আটাশ চাল ৪৮ থেকে ৫০। মিনিকেট চাল পাওয়া যাচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। নাজিরশাইল চাল পাওয়া যাচ্ছে ৬২ থেকে ৬৪ টাকায়।

রাজধানীর তেজগাঁও থেকে আসা ক্রেতা আশরাফ বলেন, “চালের দাম কম। কিন্তু কখন যে বেড়ে যায়। এটা সব সময় তদারকির মধ্যে রাখা দরকার।”

মুরগির দামেও স্বস্তি রয়েছে ক্রেতাদের। ঈদের আগে মুরগির দাম চড়া থাকলেও ঈদের পর তা নাগালের মধ্যেই রয়েছে। বর্তমানে ১৪০ টাকা কেজিতে ব্রয়লারের মুরগি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। সোনালিকা মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, যা এখন হয়েছে ২৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

এ ছাড়া হাঁস পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কবুতর পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায়।

তবে বাড়তি রয়েছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের কেজি খুচরা বাজারে ৪০ টাকার মধ্যেই ছিল। যা এখন পাওয়া যাচ্ছে ৪৫ টাকায়। পাইকারি বাজারেও পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা।

কারওয়ান বাজার এলাকার ব্যবসায়ী রফিক সর্দার জানান, মজুত কম থাকার কারণে দাম বেড়েছে। এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৪০ টাকা।

রাজধানীর মধুবাগ এলাকা থেকে আসা ক্রেতা নাজমুল ইসলাম বলেন, “পাইকারি থেকে খুচরা দোকানে পেঁয়াজের দাম কম। মনে হচ্ছে, খুচরা দোকানেও বেড়ে যাবে। ঈদের আগে টিসিবি থেকে পেঁয়াজ পাইনি। পেঁয়াজের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে টিসিবির পেঁয়াজেই ভরসা। বর্ষাকালে দাম আরও বাড়ার আগেই সরকারের নজর দেওয়া উচিত।”  

এদিকে ডিমের দামও কমেনি। বর্তমানে প্রতি হালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি। খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে কেজি প্রতি ৯০০ টাকায়।

সবজির দামেও তেমন কোনো তারতম্য দেখা যায়নি। বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি উঠেছে। পটোল, ঢেঁড়স, কাকরোল, চিচিঙা, ঝিঙে, পেঁপে, বরবটি, করলাসহ পাওয়া যাচ্ছে নানা সবজি। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।

কারওয়ান সবজি ব্যবসায়ী চয়ন মিয়া জানান, ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, সজনে ডাটা ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা। প্রতি পিস কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, চালকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৫০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা।

পাইকারি বাজারে ডাল ও চিনির দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। সরু দানার মসুর ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায় এবং রসুন মিলছে ১৩০ টাকায়।

এছাড়া ভোজ্যতেলের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত। রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৬০ টাকায়। তীর তেল পাওয়া যাচ্ছে ৫ লিটার ৬৪০ টাকা, পুষ্টি ৬৩০ টাকা এবং বসুন্ধরা তেল পাওয়া যাচ্ছে ৬৩৫ টাকায়। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটার প্রতি ১২০ টাকা। পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১০৮ টাকা লিটার।