
চলমান লকডাউনের মধ্যে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল রেখে এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরও ১৯ জোড়া ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরমধ্যে ৯ জোড়া আন্তনগর এবং ১০ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন রয়েছে।
রোববার (৬ জুন) রেলওয়ের উপপরিচালক রেজাউল হকের সই করা এক অফিশিয়াল আদেশে এ কথা বলা হয়েছে।
অফিশিয়াল ওই আদেশে বলা হয়েছে, জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এই ট্রেনগুলো চালু হবে। তবে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল রেখে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই আদেশে।
আন্তনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-তারাকান্দি রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-রাজশাহী রুটে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
মেইল ও কমিউটার ট্রেনগুলো হলো∑ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল, ঢাকা-সিলেট রুটে সুরমা মেইল, ঢাকা-আখাউড়া রুটে তিতাস কমিউটার, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, চট্টগ্রাম-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রুটে ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মহুয়া কমিউটার, রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রুটে রাজবাড়ী এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-বিরল রুটে বিরল কমিউটার, লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে বগুড়া কমিউটার এবং বোনারপাড়া-সান্তাহার রুটে কলেজ ট্রেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের নির্দেশ মেনে ৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিল বাংলাদেশ রেলওয়ের সব যাত্রীবাহী ট্রেন। ২৩ মে শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চলাচলে অনুমতি দেয় সরকার।
২৪ মে থেকে আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আবারও শুরু হয় ট্রেন চলাচল। তখন ২৮ জোড়া আন্তনগর এবং ৯ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করে রেলওয়ে। এবার সেখানে যুক্ত হলো আরও ৯ জোড়া আন্তনগর এবং ১০ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন।
মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টার থেকেও টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা। মঙ্গলবার থেকে এই সেবা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গণপরিবহন খুলে দেয়ার পর শুধু অনলাইনে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলেও সেখান থেকে সরে এসেছে সরকারি এই সংস্থা। ৮ জুন থেকে রেলের টিকিট মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টার থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা।