• ঢাকা
  • বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২১, ১২:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০২১, ০১:১৩ পিএম

ঢাকায় ৭১ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের আ্যন্টিবডি 

ঢাকায় ৭১ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের আ্যন্টিবডি 


ঢাকায় ৭১ এবং চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ৩ হাজার ২২০ জনের মাঝে পাঁচ মাসের গবেষণায় এমন তথ্য পেয়েছে আইসিডিডিআরবি।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্ক ও তরুণদের সেরোপজিটিভিটি বা রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার প্রায় সমান। তবে নারীদের মধ্যে এই হার ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ, যা পুরুষদের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেশি।

এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বস্তি এবং বস্তির বাইরে বসবাসকারীদের রক্তে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি এবং তার সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা। যেসকল সম্ভাব্য কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেগুলো হলো- শরীরে অন্য কোন শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের উপস্থিতি, পুষ্টিগত অবস্থা (যেমন: ভিটামিন-ডি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম) এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। এই সমীক্ষাটি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে পরিচালনা করা হয়। এটি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে বস্তি এবং বস্তি সংলগ্ন বাইরের এলাকায় বসবাসকারী মোট ৩,২২০ জনের মধ্যে একটি আন্ত-বিভাগীয় গবেষণা হিসেবে পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় গৃহস্থালি পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, রক্তচাপ ও শরীরের পুষ্টি পরিমাপ এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত মূল তথ্য হলো-

১. ৩,২২০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় সেরোপজিটিভিটির হার বেশি।

ঢাকায় যেটি ৭১%, চট্টগ্রামে তা ৫৫%। বয়স্ক ও তরুণদের সেরোপজিটিভিটির হার প্রায় সমান। মহিলাদের মধ্যে সেরোপজিটিভিটির হার ৭০.৬%,যা পুরুষদের (৬৬%) তুলনায় বেশি। যেসব অংশগ্রহণকারীদের (মোট ২২০৯)মাঝে সেরো পজিটিভিটি পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ৩৫.৫% এর ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।

২.স্বল্প শিক্ষিত, অধিকও জন, উচ্চরক্ত চাপও ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের, তাদের মাঝে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেন্স (রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার) দেখা গিয়েছে।

৩. বারবার হাত ধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকা গ্রহণ এবং মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্র্রম করা ব্যাক্তিদের মাঝে কমমাত্রার সেরোপ্রিভেলেন্স দেখা গেছে।

৪. সেরোনেগটিভ ব্যক্তিদের তুলনায় সেরোপজিটিভ ব্যক্তিদের মাঝে সেরাম জিংক এর মাত্রা বেশি দেখা গেছে। এটাই হয়তো গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মাঝে রোগের মৃদুলক্ষণ এর সাথে সম্পৃক্ত।

৫. গবেষণায় ভিটামিন-ডি এর অপর্যাপ্ততার সাথে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভিটামিন-ডি এর উচ্চ মাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে।

জাগরণ/এমআর