করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ (কঠোর লকডাউন) চলাকালে সারাদেশের আটটি বিভাগে ১০৬ জনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী, এপিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আওতাধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়ে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি সময় নির্ধারণ করবেন।
একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলেও জানানো হয়েছে।
জাগরণ/এসএসকে