• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২১, ০১:১৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৯, ২০২১, ০১:১৭ এএম

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে আরও একজনের মৃত্যু

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে আরও একজনের মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজন শ্রমিক মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া  জানান, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি হওয়া শ্রমিক মুরসালিনকে (২২) রাত ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা।

নিহত মুরসালিন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর সুদেবপুর গ্রামের  বাসিন্দা আনিসুর রহমানের ছেলে। এক ভাই, এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।

রূপগঞ্জের ঘটনায় আহত শ্রমিক আবু বকর সিদ্দিক জানান, মুরসালিন আগুন লাগার পর তিন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে তিন জন মারা গেলেন। মুরসালিনের আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বপ্না রাণী (৪৫) ও মিনা আক্তার (৩৩) নামে দুজন শ্রমিক মারা গেছেন।

বাচ্চু মিয়া  জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে আহতদের ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

তারা হলেন—নাহিদ (২৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (২৫), মহাসীন হোসেন (৩২), আবু বক্কর সিদ্দিক(৪০),  আমেনা বেগম (৩২) ও ফাতেমা আক্তার (২৩) , মহাসিন (২৭) ,মাজেদা (২৮)  ও মুরসালিন (২২)।

আহতদের মধ্যে তিন জনের শ্বাসকষ্ট  বেড়ে যাওয়ায়  শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানাটির যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সে ভবনটি বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে। কারখানা পরিচালনায় অব্যবস্থাপনার কারণেই আগুন লেগেছে বলে তারা দাবি করছেন।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ নূসরাত জাহান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুল ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ নূসরাত জাহান বলেন, ‘কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি বিল্ডিং কোড না মেনে ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভবন তৈরি করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’  

জাগরণ/এসএসকে

আরও পড়ুন