ঈদের পর কঠোর লকডাউনের ৪র্থ দিনে ঢাকার রাজপথে চেকপোস্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনা সদস্যদের টহলের মধ্যেও ছিল প্রাইভেট গাড়ির আধিপত্য। পথে পথে ছিল রিকশা, অ্যাপসে রাইড শেয়ারকারী মোটরসাইকেল।
গাবতলীসহ বিভিন্ন সড়কে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা থেকে শুরু করে নানা অজুহাতে বিচ্ছিন্নভাবে বাহিরে বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হয়েছেন তাদের অনেকেই। এরমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেকে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়েছে অনেককে।
সোমবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রধান প্রধান সড়কগুলো রিকশার দখলে। প্রাইভেটকারের চলাচল গতকালের তুলনায় অনেক বেশি। আবাসিক এলকাগুলোর অলি গলিতে বেড়েছে নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা। কোথাও আবার অলি-গলির রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন করতেও দেখা গেছে। উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে বাইরে বের হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৮৭ জন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৩৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ৯৫০ টাকা। এ ছাড়া ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৫২১টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ নিয়ে গত তিনদিনে রাজধানীতে মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন এক হাজার ৩৭৩ জন।
গাবতলী ব্রিজের পাশে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক দুলাল হোসেন বলেন, রাস্তায় মানুষ বেড়েছে, সড়কে গাড়িও বেড়েছে। এমতাবস্তায় আমরা আমাদের সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাস্তায় মানুষ বাড়ার পাশাপাশি আবাসিক এলাকাগুলোতে মানুষ নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করছে। সবাইকে ঘরে রাখার চেষ্টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা হচ্ছে। আমরা চাই এই করোনা মহামারির সময়ে সবাই সচেতন হোক, স্বাস্থ্যবিথি মেনে চলুক তবেই করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমে আসবে।
ঈদুল আজহা ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার। আট দিন বিরতির পর ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ফের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার, যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জাগরণ/এমএইচ