• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২১, ১১:৪৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৬, ২০২১, ০৮:১৬ পিএম

‘ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার হচ্ছে’

‘ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার হচ্ছে’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম জোরদার করা। সেটা যেন ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়ে যায়। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা। ওয়ার্ডে যে সব বয়সের লোকেরা আছেন তাদেরকে ভ্যাকসিনেটেড করার ব্যবস্থা করা। তাদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার একটা অনীহা আছে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকেরা আছেন প্রায় ৭০ শতাংশ। শহরের হাসপাতালে গ্রাম থেকে এসেছে। তাদের মৃত্যু সংখ্যাও সব থেকে বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ, যারা আমাদের এখানে বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে। কাজেই তাদেরকে ভ্যাকসিনেটেড করার জন্য আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। যেটার কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা লেভেলে বেশি জোরদার করবো।  

তিনি বলেন, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে ডাক্তার-নার্স, আর্মি, পুলিশ, সাংবাদিক রয়েছেন। তারা তো পেয়েছেন। বাকিদেরও দিয়ে দিতে বলা হয়েছে। তাদের পরিবারকে টিকা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিবারে যদি কোনো ড্রাইভার থাকে তাকেও দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিবারে ১৮ বছরের বেশি যাদের বয়স তারা এই ভ্যাকসিনটা পাবে। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম তো চলছেই। এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা লেভেলে জোর বেশি দেব। পশাপাশি টেস্টের বিষয়েও জোর দেয়া হয়েছে। গ্রামের লোকেরা অনেক সময় পরীক্ষা করতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, লকডাউনের তিন-চার দিন চলছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে মানুষ যেভাবে চলাফেরা করছে, যেভাবে গাড়ি চলাচল করছে তাতে আমরা খুবই দুঃখিত। যারা লকডাউন ব্রেক করছে তারা নিজেদের ক্ষতি করছে। প্রতিটি রাষ্ট্রের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের হাসপাতালে ৯০ শতাংশ সিট বুক হয়ে গেছে, রোগী আছে সেখানে। নতুন করে আর কোথায় হাসপাতাল চালু করব। নতুন তো কোনো ভবনও নেই। ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারা আর কত কাজ করবে? নতুন চার হাজার ডাক্তার নেয়া হচ্ছে, নার্স নেয়া হচ্ছে।’

দেশে মোট ২১ কোটি ভ্যাকসিন আসবে। যেটা মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাগরণ/এমএইচ

আরও পড়ুন