
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আবারো দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ পরীমনি এবং প্রযোজক রাজসহ ৪ জনকে সিএমএম আদালতে নেয়া হয়। পরীমনিকে আরো ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে এর পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এছাড়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীকে মাদক মামলায় আরও ২ দিন ও পর্নগ্রাফি মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়ারও আদেশ দিয়েছে আদালত।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীমনি ও রাজের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, পরীমনির মামলার তদন্তভার নিতে এরই মধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে চিঠি পাঠিয়েছে র্যাব।
গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। পরে মামলাটি ডিবির হাত ঘুরে যায় সিআইডির কাছে।
এদিকে, চিত্রনায়িকা পরীমনি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌর বাসায় যাতায়াত ছিল এমন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তিদের কোনো তালিকা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। রাজধানীতে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, পরীমনি, ফারিয়া মাহবুব ও মরিয়মের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের কবল থেকে রক্ষা পেতে দুই-তিন জন ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগীরা এসব চাঁদাবাজদের বিষয়ে তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তিনি চাঁদাবাজদের কল রেকর্ড করতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন। এসব কল রেকর্ড পরে পুলিশের কাছে জমা দিতে বলেন। পাশাপাশি এই চাঁদাবাজদের বিষয়ে স্থানীয় থানা বা ডিএমপিকে তথ্য জানাতে অনুরোধ করেন ডিএমপির কমিশনার।
আদালত মাদকের উৎসসহ নানা বিষয় উদ্ঘাটনের জন্য এর আগে পরীমনিকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।
জাগরণ/এমএইচ