পরীমণি ও আরও দুই কথিত মডেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সুযোগ নিয়ে একটি চক্র কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশ প্রধান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেকেই মৌখিকভাবে বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন।
পুলিশ বা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কেউ এ ধরনের কাজ করলে সাথে সাথে জানানোর অনুরোধ করেছেন সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
নায়িকা পরীমণি, কথিত মডেল পিয়াসা ও মৌ গ্রেফতারের পর তাদের সাথে জড়িত আছেন এমন সন্দেহে অনেক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
এমন ধরনের উড়ো খবর ঘুরছে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায়। কথিত একটি তালিকাও কয়েকটি গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
এই সুযোগে অনেক ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সাংবাদিক ও পুলিশ পরিচয় দিয়ে অনেকে ব্ল্যাকমেইলিং করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান অনেকেই ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িতে থাকাও বন্ধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিকেলে মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সিআইডি প্রধান জানান, এইরকম কোনও তালিকা পুলিশ করেনি।
ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ব্যক্তিরা সম্মানহানীর ভয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পুলিশের কাছে দিচ্ছে না বলেও জানান সিআইডি প্রধান।
পরীমণি, পিয়াসা ও মৌয়ের মামলার বিষয়ে বেশ কয়েকজনকে চিঠি দিয়ে ডাকা হয়েছে। আর যাদের ডাকা হয়নি তারা ধরে নেবেন, এই মামলায় তারা সম্পৃক্ত নয়।
সিআইডি প্রধান বলেন, অভিযুক্ত সবার বাসায় অভিযান চালিয়ে তিনটা জিপ, একটা বিএমডব্লিউ, একটা মাজদা এবং একটা ফেরারি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
জাগরণ/এমএ