বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরোপিত শর্তসমূহ কিছুটা শিথিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকে করোনা টিকার ডাবল ডোজ নেয়া থাকলে ভারত থেকে ফেরার পর ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের বদলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়া ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাগবে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বেশ খুশি যাত্রীরা। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সাথে রাখতে হবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সনদ এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর থেকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ। তবে দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া যাত্রীদের থাকতে হবে হোটেল কোয়ারেন্টিনে।
জানা গেছে, ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ভারতে যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী। ভারত থেকেও ভ্রমণ, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিদিন বাংলাদেশে আসে ৫ শতাধিক।
ভারতগামী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী মুরাদ জানান, ভারতে যেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র এনেছিলেন কিন্তু তা লাগেনি। ছাড়পত্র ম্যানেজ করতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ নিয়মে এখন তারা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।
ভারত থেকে আসা রাসেল বলেন, আমি এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতে যাই। এখন ফিরছি। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টিনের সুবিধা পাচ্ছি না।
অন্যদিকে ভারতগামী যাত্রী শোভন জানান, ভারত যেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র এনেছিলেন কিন্তু তা লাগেনি। ছাড়পত্র পেতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তিনি দুই ডোজ টিকা নিয়ে ভারতে যাচ্ছেন। এ নিয়মে এখন তারা অনেকটা স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবেন।
শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রোববার থেকে কার্যকর করেছেন তারা। ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন ছাড়পত্র লাগবে না। শুধু ভিসা, দুই ডোজ টিকা আর করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলে তারা যেতে পারবেন। ভারত থেকে ফিরে আসার সময় যাদের করোনা টিকার দুই ডোজ নেওয়া আছে তারা বাড়িতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তবে ফেরার আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি লাগবে।
করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার ভারত ভ্রমণে বিধি-নিষেধ জারি করে। এতে বন্ধ হয় ভারত যাত্রা। তবে শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সচল রাখা হয় মেডিকেল ভিসা। ভারত ফেরত যাত্রীদের দেশে ফেরা মাত্র ব্যক্তিগত খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন চালু করে।