রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করতে আজ শনিবার সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে ঢাকায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সেখানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং জাতিসংঘের পক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ফন দের ক্লাউ এমওইউ-তে সই করেন।
ঢাকায় সরকারি সূত্রগুলো বলছে, এ এমওইউ’র মাধ্যমে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো কক্সবাজারের মতো ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা দেবে এবং দায়িত্ব নেবে।
ইউএনএইচসিআর এর ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগে কক্সবাজারে ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রয়োজন ও মতামত জানার জন্য তাদের সঙ্গে জাতিসংঘ আলোচনা করেছে এবং চলতি বছরের মার্চ মাসে দ্বীপটি পরিদর্শন করেছে। শরণার্থীদের সঙ্গে এবং সরকার ও বাংলাদেশি এনজিওগুলোর সঙ্গে এরকম আলোচনা নিয়মিত চালু থাকবে। এটি ভাসানচরের মানবিক ও সুরক্ষা কার্যক্রমের জন্য সহায়ক হবে।
সংস্থাটি আরো জানায়, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য চলমান মানবিক কার্যক্রমের এ বছরের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে এখন পর্যন্ত অর্ধেকেরও কম অর্থায়ন হয়েছে। চলমান সহায়তা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জাতিসংঘ আহ্বান করছে। বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায়, মর্যাদার সঙ্গে ও টেকসইভাবে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্খা রয়েছে। জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার সেই অগ্রাধিকার নিয়েই কাজ করছে। এটি যতদিন সম্ভব না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এ সহায়তা চলমান থাকবে।
জাগরণ/এমইউ