করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে নতুন করে ১১টি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। আগামী ১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।
এই ১১ দফার মধ্যে অন্যতম দফা হচ্ছে, মসজিদে ও জুমার নামাজে আগতদের মাস্ক পরিধানে সচেতন করবেন সংশ্লিষ্ট ইমামরা।
নির্দেশনার ৮ নম্বর দফায় বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সকল মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বিধিনিষেধ জারি করে। এতে বলা হয়েছে, জনসাধারণকে অবশ্যই বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ ও আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই টিকা সনদ দেখাতে হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত এবং শনাক্তের হার বাড়ছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেওয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।
গেল মাসের প্রথম দিকেও করোনা শনাক্তের হার ১ শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষ দিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত ৫০০–এর ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা ২ হাজার ২৩১ জনে পৌঁছেছে। আর পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দেওয়া করোনার নতুন ধরন এরইমধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে এখন দিনে করোনা রোগী শনাক্ত দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যেখানে মাসখানেক আগে এই সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি ছিল। করোনার বিস্তার ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইউএম