• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৯:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৯:৩১ পিএম

উৎসবের আনন্দে পৌষ সংক্রান্তি

উৎসবের আনন্দে পৌষ সংক্রান্তি
ছবি- জাগরণ।

বারো মাসে তেরো পার্বনে উৎসব পালন হলো বাঙ্গালিদের কৃষ্টি ঐতিহ্য। পৌষ সংক্রান্তি এমনই এক বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব। পৌষ মাসের শেষ দিনটিতে পৌষ সংক্রান্তির উৎসব পালন করেন গ্রাম বাংলার সর্বস্তরের মানুষজন।

মৌলভীবাজারের গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে উচ্ছ্বাসের রং ছড়ানো এ উৎসব সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

নতুন ধান ঘরে উঠেছে। ব্যস্ত হয়ে ঘরে গৃহিনীরা। নতুন ধান সেদ্ধ দেওয়া, রোদে শুকিয়ে চাল তৈরি। সেই নতুন চাল দিয়ে তারা তৈরি করেন মুখরোচক নানান পিঠাপুলি।

এই দিনটিতে শহরের অনেকেই চলে যান গ্রামের বাড়িতে। পরিবার পরিজনকে নিয়ে মেতে উঠেন পৌষ সংক্রান্তির উৎসবে। এ সময় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে পিঠাপুলি খাওয়ার জন্য উপস্থিত হন অনেকেই।

নতুন চালের মিহিদানার মালপুয়া, পাটিসাপতা, সেদ্ধ পিঠা। আখের রসের লালিগুর দিয়ে মিষ্টান্ন। খেজুরের রসের জুড়ি গুরের চোঙ্গাপিঠা, গরুর দুধের দুধপুলি, নতুন আলু, নারিকেল সহ নানান উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় পৌষ পার্বণের নানান পিঠাপুলি।

স্কুল পড়ুয়া তৃষা, তৃপো জানান, শীতের এই সময়টার আমরা শহর থেকে গ্রামে যাই। সংক্রান্তি উপলক্ষে ঘরের বড়রা বিভিন্ন কাজ করেন, আর আমরা আনন্দ হই হুল্লোড় করি। নানা রকমের পিটাপুলি তৈরি করা হয়, পাড়া- প্রতিবেশী বন্ধু-স্বজন মিলে খাই আনন্দ করি।

সংস্কৃতিকর্মী মীর ইউসুফ আলী জানান, সংক্রান্তী উপলক্ষে প্রতি বছর অন্তত ২০-২৫ টি পরিবার থেকে দাওয়াত পাই। আমি স্বপরিবারে উপস্থিত হই, খাওয়া দাওয়ার এই উৎসবে সামিল হই।

চাকুরীজীবী সজল দেবনাথ বলেন সংক্রান্তি উপলক্ষে গ্রামের বাড়ীতে আয়োজন করেছি। বড় মাছ কিনেছি, রয়েছে নানা রকমের পিঠাপুলির আয়োজন। আমার বাসায় সকল ধর্ম বর্ণের মানুষকে নিমন্ত্রণ করি, সবাই আসে। সব মিলিয়ে সার্বজনীন একটি উৎসব পালন হয়। এই ধরনের উৎসব অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে গুরুত্ব বহন করে।

কয়েকজন গৃহকর্তা জানান, পিঠাপুলির পাশাপাশি বড় বড় মাছ এই সময়ে কেনা হয়। সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার আনন্দ অন্যরকম। পৌষ সংক্রান্তির আগের রাতে বাজার থেকে বড়  মাছ কেনা হয়।

শহরের সংস্কৃতিকর্মী আব্দুর রব জানান, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে জেলায় সবচেয়ে বড় মাছের মেলা বসতো, কিন্তু এবছর করোনার কারণে হয়নি। করোনা মহামারীর ফলে সবকিছু উলটপালট হয়ে গেছে, কিছুটা হলেও প্রাণবন্ত উৎসবে ভাটা পড়েছে।

 

এসকেএইচ//