
অবশেষে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু করছে মিয়ানমার সরকার। ২ হাজার রোহিঙ্গার প্রথম দলটির প্রত্যাবাসনের জন্য তারা প্রস্তুতি নিয়েছে।
অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে হওয়া একটি চুক্তির আওতায় ৫ হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন শুরু হবে। আগামী ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রথম গ্রুপটিকে ফিরিুয়ে নেয়ার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরু করবে মিয়ানমার।
বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, যেখান থেকে তারা পালিয়ে এসেছে সেখানে আর ফিরে যাবে না। এদিকে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জোর করে কাউকে ফেরত পাঠানো হবেনা।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করার পর সেখান থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ এবং পুনর্বাসনমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে রোববার (১০নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে কিনা এটা বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করছে। তবে আমাদের দিক থেকে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আর আমরা সেটাই করেছি।
বৃহস্পতিবার দু'টি নৌকায় করে ২ হাজার ২৫১ জনের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উইন মিয়াত আয়ে। অপরদিকে ২ হাজার ৯৫ জনের দ্বিতীয় গ্রুপটিকে পরে যে কোন সময় নৌকায় করে ফেরত পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেন, বৃহস্পতিবার এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হবে। কাউকে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না।
কর্তৃপক্ষ তাদের এমন স্থানে পাঠাবে যেখানে তাদের জন্য সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং তারা কাজ করারও সুযোগ পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
তবে মিয়ানমার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর কথা বললেও জাতিসংঘ বলছে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়াটা নিরাপদ নয়। কারণ, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করছে মিয়ানমারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
সাইসে/জেডএস