নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে তৃতীয় বৈঠকে বসেছে সার্চ কমিটি। ধারণা করা হচ্ছে, ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেছে বৈঠকে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল সাড়ে ৫টায় এ বৈঠক শুরু হয়। যা এখনো চলছে।
এর আগে বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সার্চ কমিটি।
ওই বৈঠকে ৮ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাদের মধ্যে চারজন সভায় অংশ নিয়েছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল ও চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনে পরামর্শ নিতে দেশের চার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এর আগে আরও তিন দফা বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা হয় সার্চ কমিটির।
প্রসঙ্গত, নতুন ইসি গঠনে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দফায় বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় বেলা ১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশিষ্টজনদের মতামত নেয় সার্চ কমিটি। এই দুটি সভায় অধ্যাপক, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি, সরকারি সাবেক কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নেন।
পরের দিন রোববার বিকেলে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে মতামত নিতে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। এ দফায় ২৩ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ১৮ জন সাড়া দেন।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়। নবগঠিত সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ইউএম