
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা কমানোর পর এবার পামঅয়েলের দাম কমিয়েছে সরকার। খোলা পামঅয়েলের দাম লিটার প্রতি ৩ টাকা কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (২০ মার্চ) খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। সেই সঙ্গে ৫ লিটার বোতলের দাম ৩৫ টাকা কমিয়ে ৭৬০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য ছিল, তেলের দাম যখন ১৬৮ টাকা করা হয় তখন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে টনপ্রতি আমদানি মূল্য পড়েছে ১৩০০ ডলারের কিছু বেশি। তবে সেটি এখন পড়েছে ১৯০০ ডলারের মতো।
এই পরিস্থিতিতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলেও মিল মালিকরা তা স্বীকার করতে চাননি। আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে অভিযান চালিয়ে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের জরিমানা করতে থাকে।
পরে সরকার তেলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে প্রথমে উৎপাদন ও বিক্রয় পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করে। এই সিদ্ধান্তে বাজারে প্রভাব পড়া সম্ভব নয় বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয়ার পর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়।
৬ মার্চ সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেল আমদানিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল এবং অন্যান্য পরিশোধিত পাম তেল আমদানিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
দুই স্তর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার ও আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ রেখে বাকিগুলো প্রত্যাহারের কারণেই বর্তমানে সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে।
ইউএম