জোর করে সামনের কাতারে দাঁড়ালেই নেতা হওয়া যায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতৃত্ব ভাগ্যের বিষয়। ভাগ্য যখন আসবে তখন এমনি নেতা হওয়া যাবে।
রবিবার (১২ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মাঠে মোহাম্মদপুর থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সময়েই বলে দেবে আপনি কখন নেতা হবেন। আমি তো জেলে বসে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছি। দুই-দুইবার সাধারণ সম্পাদক (আওয়ামী লীগের) হয়েছি। ভাগ্যে যা আছে, সেটা আপনি পাবেন। সময়ের আগে কিছুই পাবেন না।’
মিছিলে কর্মীর চেয়েও নেতা বেশি হয়ে যাচ্ছে, তাই মিছিল লম্বায় না বেড়ে প্রস্থে বাড়ছে বলে দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘মিছিলের দিকে তাকাই। এখন মিছিল লম্বার চেয়েও প্রস্থে বড়। লম্বাটা কমে যাচ্ছে, প্রস্থে বেড়ে যাচ্ছে। কারণ হচ্ছে, কর্মীরা সবাই নেতা হতে চান আগেভাগে। তার মানে কর্মীরা কর্মী থাকতে চান না, নেতা হতে চান।’
ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতায় ৮০০ ইউনিট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মহানগর কমিটিতে সর্বমোট ৩৬ হাজার নেতা হবেন। আস্তে আস্তে হবেন। ভাগ্যে যখন আসবে, অটোমেটিকালি হয়ে যাবেন। জোর করে সামনের কাতারে দাঁড়ালেই নেতা হওয়া যায় না।’
সম্মেলনের মঞ্চ দেখিয়ে কাদের বলেন, ‘যে অবস্থা, ঠাঁই নেই। মঞ্চে সবাই উঠতে চায়। চেহারাটা সবাই দেখুক।’ এ সময় স্থানীয় এমপি সাদেক খান পেছন থেকে জানান—মঞ্চে সবাই মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের নেতা। তখন কাদের বলেন, ‘তাহলে ঠিক আছে। এটা নিয়মের মধ্যে হয়েছে।’
মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।