স্বজনরা আবেদন করলেই নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের বিচারিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় দেয়া মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে কী না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তাদের আবেদনের অপেক্ষায় আছি। আবেদন করলে অবশ্যই মুক্তির মেয়াদ বাড়বে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।
রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর একই মামলার আপিলে তার সাজা পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর মোট পাঁচবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বর্ধিত মেয়াদের শর্তে উল্লেখ আছে, এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন ও দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
সবশেষ গত ২৩ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এসকেএইচ//