নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সরকারের লক্ষ্য অর্জন হলে ২০৩০ সালে এ খাতে ৯ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
সংস্থাটি বলছে, এ সময় জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে কিছু কর্মসংস্থান কমতে পারে। রাজধানীতে জ্বালানি রূপান্তর নিয়ে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরে সিপিডি।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বেশিরভাগ জ্বালানি আমদানি নির্ভর। নিজস্ব জ্বালানি গ্যাসের মজুতও ফুরিয়ে আসছে। তাই বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় সরকার।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী যদি বিদ্যুৎখাতে পরিবর্তন আসে, তাহলে প্রায় ৯ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। এর প্রায় পুরোটিই নবায়নযোগ্য জ্বালানির কারণে হবে।’
সোলার ইরিগেশন পাম্পের মতো ছোট আকারের প্রকল্প এই খাতে বড় সাফল্য এনে দিতে পারবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এনার্জি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক খসরু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘সেচ কার্যক্রমে সোলার ব্যবস্থা চালু করতে পারলে বিকল্প জ্বালানি ক্ষেত্র তৈরি হবে।
বায়োগ্যাসসহ ছোট আকারের প্রকল্পগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের ব্যাপক সুযোগ তৈরি করতে পারবে। তবে এখনো এই খাত অবহেলিত।’
অবশ্য দেশে জ্বালানি রূপান্তরকে সহজ মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে কার্যক্রমের মিল নেই।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘সোলার হোম সিস্টেম, মিনি-গ্রিড এবং সেচ ব্যবস্থাপনায় নবায়নযোগ্য প্রযুক্তির প্রচুর সম্ভাবনা আছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্মার্ট জ্বালানি সিস্টেম ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, জ্বালানি রূপান্তর শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়নের তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।
জাগরণ/নবায়নযোগ্য জ্বালানি/এসএসকে