চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল চালুর একমাসে যানবাহন চলাচল করেছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬টি । এই সময়ে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। যানবাহন চলাচলের এই সংখ্যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অন্তত তিনগুণ কম। টানেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্রমশ বাড়ছে যানবাহনের পরিমান। আর বিশেষজ্ঞরা বলছে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সড়ক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে।
গত ২৮ অক্টোবর উদ্ধোধনের পরদিন ভোর থেকে সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু টানেল। সেদিন থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে টানেল দেখতে আসে লোকজন। এক মাস পরে কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন টানেল দিয়ে গড়ে যানবাহন চলেছে ৫ হাজার ৫২১টি। আর টোল এসেছে দিনপ্রতি প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের সহকারি প্রকৌশলী তানভীর রিফা জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতিতে সাধারণ দিনগুলোতে কিছুটা কম ছিল যান চলাচল। তবে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীর চাপে যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১০ থেকে ১২ হাজার। সামনের দিনগুলোতে এই যানচলাচল আরও বাড়ার বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
এই টানেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭ হাজার ৩০০ গাড়ি চলাচলের পূর্বাভাস ছিল। তবে সেই সংখ্যায় এখনও একবারের জন্য পৌঁছানো যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছে, টানেলের দুইপাশে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝুলন ধর জানান, বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বর্তমান সড়ক চারলেন ও নতুন মেরিন ড্রাইভ সড়ক দ্রুত নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তবে টানেল ঘিরে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই দুইপাড়ের মানুষের। অর্থনৈতিকভাবে নতুন সময়ের অপেক্ষাই যেনো করছে এখানকার মানুষ। এদিকে শুরুতে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটায়, গতি নিয়ন্ত্রক ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগসহ নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন চলছে দুপাড়ে পুলিশ আর ফায়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ।
জাগরণ/যোগাযোগ/বঙ্গবন্ধুটানেল/এমএ