নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের ফল ঘোষণা হয়েছে ২৬৬টি আসনে। এরমধ্যে ২০৫ টি পেয়েছে আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫০টি আসন। বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে দলটি। এরপর থেকে একটানা ক্ষমতায় রয়েছে।
ভোটের মাঠে আলোচনায় থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, ৩০০ আসনের জাতীয় সংসদে কোনো দল যদি ১৫১ আসনে বিজয়ী হয় তাহলে তারা সরকার গঠন করতে পারে। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগ এরইমধ্যে আগামী সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৬৩টি আসনে জয়লাভ করেছিলেঅ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৩০টি আসন। তার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দলটি। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির বর্জনের মধ্যে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৬৩টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে এককভাবে ২৫৯ আসনে জয় পায় দলটি।
রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেয়া হয় ব্যালট পেপারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
জাগরণ/দ্বাদশজাতীয়সংসদনির্বাচন/এমএ