প্রিয়া সাহার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত। প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, তার গবেষণার তথ্য-উপাত্ত বিকৃত করেছেন প্রিয়া সাহা।
সোমবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি হিসাবে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিবৃতিতে আবুল বারকাত বলেন, ‘‘প্রিয়া সাহা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পত্র-পত্রিকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশত্যাগ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমার নাম উল্লেখপূর্বক কিছু তথ্য-উপাত্ত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রিয়া সাহা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎকালে বলেছেন, বাংলাদেশে ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। এরপরেও ভিডিও-সাক্ষাৎকারে তিনি আমরা নাম উল্লেখ করে বলেন, উল্লেখিত পরিসংখ্যান আমার গবেষণার তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে মিলে যায়। তিনি এও বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ জন লোক হারিয়ে যাচ্ছে। প্রিয়া সাহার উপরোক্ত বক্তব্যসমূহের সাথে আমার গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্তের কোনও মিল নেই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার গবেষণায় যা আছে তা হলো- আমার হিসেবে প্রায় পাঁচ দশকে (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত) আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ নিরুদ্দিষ্ট হয়েছেন (উৎস : আবুল বারকাত, ২০১৬, বাংলাদেশে কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি, পৃ:৭১)। অর্থাৎ আমি কোথাও ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন-এ কথা বলি নি। উপরন্তু তিনি কোথাও বললেন না, আমার গবেষণা তথ্যটির সময়কাল ৫০ বছর (১৯৬৪-২০১৩)।’
আবুল বারকাত তার বিবৃতিতে আরও বলেন, প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারি ছিলেন না। আমি ২০১১ সালে সরকারি আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ১৯০১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যায় বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার উল্লেখ করেছি মাত্র।’’
আবুল বারকাত আরও বলেন, ‘‘একজন সমাজ গবেষক হিসেবে আমি নিশ্চিত হতে চাই, প্রিয়া সাহা আমার নাম উল্লেখপূর্বক যেসব বিভ্রান্তিমূলক ও নীতি গর্হিত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি অতি দ্রুত তা প্রত্যাহার করবেন।’’
জেডএইচ/এসএমএম