• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৮, ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম

এডিস মশা 

পরীক্ষা না করেই ওষুধ কার্যকর!

পরীক্ষা না করেই ওষুধ কার্যকর!

সরি টু সে। আমি মশাবিশারদ নই। খাদ্য নিয়ে কাজ করি। সিটি করপোরেশনে ব্যবহার করা মশার ওষুধের এফিকেসি (কার্যকারিতা) টেস্ট করা হয় মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের Institute of Epidemiolog, Disease Control and Research (IEDCR)  ল্যাব হতে। এ পরীক্ষায় জীবন্ত মশার ওপর পরীক্ষা করে দেখা হয় তা কতটুকু কার্যকর। অর্থাৎ মশা মরে কিনা।

গত ১৫/৭/১৯ তারিখে সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানো ওষুধ পরীক্ষা করে IEDCR থেকে রেজাল্ট দেয়া হয়েছে ১০০% কার্যকর।

হঠাৎ এক জায়গায় চোখ আটকে গেল! রিপোর্টে বলা হয়েছে, তারা কিউলেক্স (Culex Quinquefasciatus) প্রজাতির মশার ওপর এ এফিকেসি বা কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছেন। আমি যতটুকু জানি, এডিস ও কিউলেক্স প্রজাতি আলাদা। এক প্রজাতির ওষুধ দিয়ে অন্য প্রজাতির মশা ঘায়েল করার সুযোগ মনে হয় নেই বা আশা করা বোকামি।
 
ফোন করলাম ওঊউঈজ ল্যাবে। তারা যতটুকু জানালেন, এর আগেও সব সময় তারা কিউলেক্স প্রজাতির মশার ওপর এসব ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। তিনি স্বীকার করলেন, এডিস মশা এ ওষুধে ধ্বংস নাও হতে পারে।

তা হলে কেন এডিস মশা দিয়ে পরীক্ষা করেননি। আমার প্রশ্নের জবাবে তিনি জানালেন, সিটি করপোরেশন এবং কৃষি সম্প্রসারণ উইং থেকে তা বলা হয়নি বলে তারা এডিস মশার ওপর পরীক্ষা করেননি। তাদের চিঠিতে সব সময় কিউলেক্স মশার কথা বলা হয়েছে।

কিউলেক্স প্রজাতি একটি সাধারণ প্রজাতির মশা। এডিস ভয়াবহ। ভয়াবহ তার ক্ষমতা। অথচ কিউলেক্স প্রজাতির মশার ওপর পরীক্ষা করে তা স্প্রে করা হচ্ছে এডিস মশার ওপর। ফলাফল কি হচ্ছে তা আমরা সকলেই জানি।

হয়তো ভালো কাজ দেয়নি প্রথম থেকে। কিউলেক্সের ওষুধ সহ্য আর হজম করে করে দিনে দিনে এডিস হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর ক্ষমতার অধিকারী। পেয়েছে মহা জীবনীশক্তি।

এডিসের জন্য কোন ওষুধ দরকার, তা পরীক্ষা করা হয়নি এখনো। অপরদিকে এ ওষুধের তিন রকম অ্যাকটিভ ইনগ্র্রিডিয়েন্ট সঠিক ও পরিমাণ ঠিক আছে কিনা, তা ডিএই ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ল্যাব থেকে পরীক্ষা করা হয়নি। কেন এমন হয়! কেন এমন হচ্ছে!! নিজেকে খুব অসহায় লাগে।
 
মশার কারণে মৃত্যু-আতঙ্কে থাকতে হয় এ যুগে! নিজে মরলে আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের বাচ্চারা?

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যারা দায়িত্বে ছিলেন এদের নাম মিডিয়াতে আসুক, এদের মুখোশ উন্মোচিত হোক। এরা কীভাবে পারে কোটি কোটি মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে। এদের তো ওপেন ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেললেও শাস্তি কম হবে মনে হয়...


লেখক : প্রকৌশলী ও লেখক

আরও পড়ুন