• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০১৮, ০৮:০৭ পিএম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাগ্রে থাকবে ‘জাগরণ’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাগ্রে থাকবে ‘জাগরণ’
বিশিষ্টজনদের নিয়ে দৈনিক জাগরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেক কাটছেন তোয়াব খান, সঙ্গে আছেন সম্পাদক আবেদ খান ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

‘মুক্তবুদ্ধির মুক্তিযোদ্ধা’- এই স্লোগান নিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো দৈনিক জাগরণ। দেশবরেণ্য লেখক, সাংবাদিক, কবি, আইনজীবী, রাজনীতিকসহ নানা শ্রেণীপেশার খ্যাতিমান ব্যক্তিদের পদচারনায় জীবন্ত এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে জাগণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানটি রূপ নেয় বরেণ্যদের মিলনমেলায়। 

বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে অংশ নিয়ে সবাই মুক্তকণ্ঠে এবং প্রাঞ্জল ভাষায় এই প্রত্যাশা করেন যে, দৈনিক জাগরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পথ চলবে নিরন্তর । অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণের বন্ধুর পথে থাকবে সবার আগে। আর এরই মাধ্যমেই মানুষের অধিকার ও সুযোগের সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াইকে এগিয়ে নেবে বহুদূর। ভূমিকা রাখবে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায়।   

১৪ নভেম্বর (বুধবার) রাতে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন চৌধুরী সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় দৈনিক জাগরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে কেক কেটে ও সুইচ টিপে জাগরণের অনলাইন সংস্করণ  উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতের জীবন্ত কিংবদন্তী সাংবাদিক তোয়াব খান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন- দৈনিক জাগরণের যুগ্ম সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী, সাব-এডিটর ফাইজা ও অদিতি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দৈনিক জাগরণের সম্পাদক ও প্রকাশক, মুক্তিযুদ্ধের সূর্যসৈনিক, স্বনামধন্য সাংবাদিক আবেদ খান। তিনি বলেন, জাগরণের স্বপ্ন অনেক বড়। আজকে যে স্থানে আমরা যাত্রা শুরু করেছি, সেটা আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্য নয়। জাগরণ কোনো ব্যক্তি মালিকের নয়, এর মালিক এখানকার সংবাদকর্মীরা। এখানে সবাই স্বাধীনভাবে কাজ করবে, প্রত্যেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। আজকে জাগরণ শুধু অনলাইন দিয়ে আত্মপ্রকাশ করলেও খুব দ্রুত এটি প্রিন্ট ভার্সনেও যাবে। জাগরণ ইনস্টিটিউটের দিকেও যাবে, এসব আমাদের স্বপ্ন। এসব সাংবাদিকতার প্রয়োজনেই করা হবে।

সাংবাদিকতার শক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আবেদ খান বলেন, এ শক্তি শুষে নিচ্ছে এক ধরণের মালিক। এর ফলে একজন সম্পাদক হয়ে যান সিইও। একজন সাংবাদিক হয়ে যান কর্মচারী। এটা খুব দুঃখজনক। আমি তথাকথিত নিরপেক্ষ নই। স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি- যে জাগরণের স্বপ্ন আমি-আমরা দেখছি, সে জাগরণ কখনই তথাকথিত নিরপেক্ষ হবে না। নিরপেক্ষতার ভান করবে না। জাগরণ মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে, সত্যকে তুলে ধরতে চেষ্টা করবে, যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে পরিষ্কার অবস্থান নেবে। এক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা নেই।

'মুক্তবুদ্ধির মুক্তচিন্তা করতে গেলে যেসব বাধা আসে, জাগরণ নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে সেসব বাধা দূর করতে পারবে' বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন খ্যাতিমান সাংবাদিক তোয়াব খান। তিনি বলেন, আমাদের দেশে তথ্যের অনেক প্রবাহ। দেশে ১২ থেকে ১৪ কোটি মানুষের হাতে মোবাইল আছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ কোটি মানুষের কাছে সচিত্র ফোন আছে। অতএব তথ্য আটকানো যাবে না। তাহলে বৈশ্বিক যে দায়, সেটা এড়ানো যাবে না। জাগরণ মুক্তবুদ্ধির জন্য মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আবেদ খান অত্যন্ত সাহসের সাথে বর্তমান সময়ে দৈনিক জাগরণ নিয়ে আত্মপ্রকাশ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে অসংখ্য গণমাধ্যম আছে। যদি ভিন্ন দৃষ্টি নিয়ে কাজ করা হয়, চিন্তাচেতনা ভিন্ন থাকে, তবেই সফল গণমাধ্যম করা যায়। আশা করবো আবেদ খানের নেতৃত্বে জাগরণ শুরু থেকে সে কাজটিই করবে।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাবার জন্য রাজাকার, খুনি, দুর্নীতিবাজদের সাথে হাত মেলানো আমরা দেখেছি। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম। তাদেরকে ইতিহাসের আস্তাকুড়েঁতে নিক্ষেপ করতে হবে। ভারসাম্যের নামে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাকে, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে অসাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে, খুনিকে ভাল মানুষের সাথে এক পাল্লায় মাপা যাবে না। এটা চ্যালেঞ্জ, এজন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। দীর্ঘ সংগ্রাম সামনে, আশা করি জাগরণ সংগ্রামে থাকবে।

আবেদ খান অত্যন্ত অভিজ্ঞ সাংবাদিক, অভিজ্ঞ সম্পাদক এবং তার সাফল্যের জন্য কামনা না করলেও তার সাফল্য আসে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মশিউর রহমান।

কৌতুক করে তিনি বলেন, আবেদ খানের পরিবারের একাধিক পিএইচডি আছে এবং তার স্ত্রী-ও পিএইচডি করেছেন। তো এটা দেখে যদি কেউ মনে করেন যে, পিএইচডি করার সহজ পথ আবেদ খানের সাথে সম্পর্ক করা, তাহলে হয়তো আরো অনেকে পিএইচডি করতে পারবেন।

আলোচনায় কূটনীতিক সিএম সফি সামি বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রসূত যে দেশপ্রেম, সেই দেশপ্রেমের একটা বিপুল প্রকাশ আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আবেদ খানের মধ্যে দেখেছি। আমি বিশ্বাস করি তার নেতৃত্বে জাগরণ সে চেতনাকে অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিশালী গণমাধ্যমের প্রকাশ ঘটালেন আবেদ খান। তিনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা এবং ব্যতিক্রম মুক্তিযোদ্ধা। ৭১'এ যেমন যুদ্ধ করেছেন, এখনো যুদ্ধ করছেন। কয়েক বছর আগে তিনি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন। এটাও মুক্তিযুদ্ধের অংশ। উনার প্রকাশনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের কথা বলবে। ধর্ম নিরপেক্ষতা বাংলাদেশে ফিরবে না, এটা আমরা কখনই বিশ্বাস করতে পারি না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশকে সাম্প্রদায়িক করতে চেয়েছিলো- জিয়া ও খুনি মোশতাক। অথচ বঙ্গবন্ধু বলে দিয়েছিলেন- বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতি করা যাবে না। তার স্বপ্ন ছিল- অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে এমন কোনো লোককে সংসদে দেখতে চাই না, যে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালের পরের ঘটনা আমরা চাই না। বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় যে উন্মাদনা, নৃশংশতা তৈরি করেছিলেন, তা আবার চাই না। আশা করি- জাগরণ এ কাজে ভূমিকা রাখবে। আমরা রামু, নাসিরনগরের কথা ভুলিনি।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. আতিকুল ইসলাম বলেন, আবেদ ভাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্দিনে আমাদের শুধু রক্ষা করেছেন, তা-ই নয়, আমাদের ছাত্রদের সঠিকভাবে চিন্তা করতে শিখিয়েছেন, এর জন্য তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আবেদ ভাই যে একজন মুক্তিযোদ্ধা, ৭১ এরপরেও এবং আজীবন থাকবেন, তার সে যুদ্ধটা যেন হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ এবং ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গঠনে।

নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, আবেদ ভাইর কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। পত্রিকাটির স্লোগান মুক্ত বুদ্ধির মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার জায়গা একেবারেই সংকুচিত হয়ে গেছে। আমাদের সব সময় সেলফ সেন্সরশিপের মধ্যে থাকতে হয়। যদি শারীরিকভাবে নিগৃহীত হতে না চাই। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।

রাজনীতিতে আদর্শ বলে কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেখা যায়, আওয়ামী লীগ থেকে কেউ নমিনেশন না পেলে, বিএনপিতে যায়, এখান থেকে না পেলে জাতীয় পার্টিতে যায়। এক্ষেত্রে অর্থ প্রধান নিয়ামক হয়ে গেছে। আদর্শধারক রাজনীতিক অর্থের অভাবে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। আমরা চাই, মেধাবী তরুণরা রাজনীতিতে আসবে, রাজনীতির গুণগত মান পরিবর্তন করতে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, জাগরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় থেকে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রসারে কাজ করবে, তা প্রত্যাশা করছি। সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা- তরুণ সমাজের জন্য সঠিক পথ প্রদর্শন করা।

বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর রাজেশ উসিয়া আশা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে জাগরণ আবেদ খানের নেতৃত্বে ভূমিকা রাখবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যেমন বাংলাদেশের পাশে ছিল, আজও থাকবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেছেন, আমাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের অনেকেই অশুভ শক্তি, রাজাকার-আল বদরদের সাথে হাত মিলিয়েছেন। আমার প্রত্যাশা- জাগরণ তাদের বোধোদয় ঘটাতে সক্ষম হবে।

জাগরণের ভিত্তি প্রসঙ্গে মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসের ফাউন্ডেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ। আজকাল একটা জিনিস দেখবেন যে, কাজ শুরু করার পরে এক মাসের মধ্যে একটা পত্রিকা বের করে ফেলল।অনলাইন বা প্রিন্ট পত্রিকা। সেখানে আমরা দেখছি জাগরণ কিন্তু প্রায় অনেকদিন থেকে ভিতরে ভিতরে কাজ করছে, এ থেকে বুঝা যায় যে, এদের ফাউন্ডেশন অনেক শক্তিশালী হবে এবং মিডিয়া জগতের জন্য ও আমাদের সবার জন্য অনেক সুফল বয়ে আনবে।

জাগরণের মতো পত্রিকা নিশ্চই দরকার উল্লেখ করে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেজবাহ কামাল বলেন, আমাদের ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা তো হয়, নিরন্তর হচ্ছে। আমাদের পেছনে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এ সময়টায় আমাদের জেগে উঠা দরকার, নির্বাচন সামনে। আমরা বাঁক পরিবর্তনের পথে। হয় আমরা আগাবো, নয় পেছাবো। কাজেই জাতি হিসেবে এখন আমাদের জাগরিত হওয়া দরকার।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, আদর্শিকভাবে জাগরণ যেন অটল থাকে। অনেকে মুখে আদর্শের কথা বলে জয় বাংলা স্লোগান দেন। পরক্ষণেই আবার নিরপেক্ষ হয়ে যান। জাগরণ যেন এমন না করে।

ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাতনি এরোমা দত্ত বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোনো সংবাদপত্র মুক্তিযুদ্ধ শিরোনাম দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেনি। আবেদ ভাই মনে প্রাণে একজন মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরেও যুদ্ধ করেছেন, এখনও সেই যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন।

বিশিষ্ট অভিনেতা ও সঙ্গীত শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবেদ ভাই নতুন করে আবার সংগ্রামে নেমেছেন জাগরণ দিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কাজল ব্যানার্জি বলেন, আমরা দেখি পরিবেশ আন্দোলন চলে। সেখানে একমাত্র উপজীব্য হচ্ছে প্রকৃতি। সামাজিক পরিবেশও যে একটা পরিবেশ এবং সংস্কৃতিও যে পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ এই ব্যাপারগুলো কিন্তু আমাদের বুদ্ধিজীবিদের ভূমিকায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এমন অনেক উদাহরণ আছে। জাগরণ শুরু হবে, সেখানে তারা এমন বেশকিছু ক্ষেত্র বেছে নিয়ে যদি ভিন্ন ভূমিকা পালন করেন, তাহলে আমরা খুশি হব, স্বাগত জানাব।

জালালাবাদ এসোসিয়েশন (ঢাকা) সভাপতি সিএম তোফায়েল সামি বলেছেন, আবেদ খান নিজেই একজন ইন্সটিটিউট। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যে থিউরিতে গঠিত হয়েছিল- আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং সেকুলারিজম, এই দুই দিকই তিনি তুলে ধরবেন।

দৈনিক জাগরণের মাধ্যমে মানুষ জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খানের নেতৃত্বে আরেকটি নির্ভরযোগ্য পত্রিকা দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জগতে 'জাগরণ' একটি নতুন জাগরণের সৃষ্টি করবে এবং এটি মানুষের মুখপাত্র হয়ে উঠবে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছোটবেলায় মা-বাবা আমাকে বলেছিলেন, পারলে একজন সাংবাদিক হতে। কিন্তু আমি পারিনি। আজকে বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খানের সংস্পর্শে আসতে পেরে কিছুটা হলেও সাংবাদিকতার ইচ্ছাটা হয়ত পূরণ করতে পারব।

গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক কানিজ আকলিমা সুলতানা বলেছেন, আবেদ খান তার লেখার মাধ্যমে নিজেকে চিনতে সাহায্য করাবেন। আমার সত্তা, আমার জীবন, আমার পেছন, আমাদের পিতৃপুরুষ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। একই মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী একেকজন একেক রকমভাবে তুলে ধরেন। আবেদ ভাই এমনভাবে তুলে ধরবেন, যেটা সত্যিকারের আলো হয়।

কবি হাবিবুল্লা সিরাজি বলেন, সামনে একটি নির্বাচন আসছে, সে প্রেক্ষিতে আমরা চাই, জাগরণ তার ভূমিকা রাখবে।  মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শুধু নয়, মানুষের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে এবং অশুভ শক্তির বিপক্ষে।

দৈনিক জাগরণের সম্পাদক ও প্রকাশক আবেদ খানের বন্ধু আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, আমি এই পত্রিকার সাফল্য কামনা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস পত্রিকাটি আবেদের গুণে সফলতা লাভ করবে।

দৈনিক জাগরণ সম্পাদক আবেদ খানের বন্ধু,বুদ্ধিজীবী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন,আমি আজ মুগ্ধ। অনেকদিন ধরে আবেদ খানের স্বপ্ন ছিল একটি পত্রিকা বের করার।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যশোদা জীবন দেবনাথ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আবেদ ভাই একটি পত্রিকা বের করতে যাচ্ছেন। এখন অনলাইন পোর্টাল ও ভবিষ্যতে আরো পরিকল্পনা আছে। সেই কাজে ওনার সাথে ছোট ভাই হিসেবে থাকতে পেরে গর্ববোধ করছি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য বলেন, আজকে জাগরণের যে শুরু হলো, সে যাত্রা স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আরেকটি পূর্ণতা দেবে। পুস্তক প্রকাশনা সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, প্রকাশকরা আবেদ খানের সাথে আছেন। আর দৈনিক জাগরণ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। তিনি ইউনিটির পক্ষ থেকে জাগরণকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

বক্তৃতা পর্ব শেষে অতিথিরা নৈশভোজে অংশ নেন।