খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পিজি (বর্তমান বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেই। ডাক্তারদের দিয়ে গঠিত বোর্ড স্বীকার করেছে দেশনেত্রীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তিনি একেবারেই হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তার শারীরিক অবস্থার ক্ষতি হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সোমবার (০৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও জামিনে বাধা প্রদানের পেছনে সরকার নীলনক্সা রয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এটা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন দেশনেত্রীকে হয় দুনিয়া থেকে না হয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে। গত কয়েকদিন ধরে সরকার দলীয় লোকদের মিডিয়া এবং মন্ত্রী ও নেতাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বক্তব্য এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্য বিপরীতধর্মী। এতে বোঝা যায় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে নিষ্ঠুর তামাশা করছেন।
মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল যে বক্তব্য দিয়েছেন, যদি তাই হয় তবে তিনি বারবার মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন পেতে বাধা দিচ্ছেন কেন প্রশ্ন করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তি পেতে সরকারের নির্দেশই সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে।
তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, লায়ন আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, দলীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, মামুনুর রশিদ মামুন, শেখ মোহাম্মদ শামীম, হযরত আলী, মিয়া নুর উদ্দিন অপু, ইসাহাক সরকারসহ দেশব্যাপী হাজার হাজার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, সাহিদা রফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
টিএস/আরআই