• ঢাকা
  • সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০১৯, ০৮:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০১৯, ০৯:৪৫ এএম

​​​​​​শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলিবর্ষণ মামলার রায় আজ

​​​​​​শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলিবর্ষণ মামলার রায় আজ
ট্রেনে হামলার আসামিদের কারাগারে নেয়া হচ্ছে; ফাইল ফটো


পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার মামলার পলাতক আসামিদের মধ্যে দুজন পাবনার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আসামিরা  হলেন ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম টেনু।  

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলীর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তারা। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে ঈশ্বরদী বিএনপির মোট ৩২ জন নেতাকর্মী আলোচিত এ মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে গেলেন।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে তাকে বহনকারী ট্রেনবহর যাত্রাবিরতি করলে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন।

পরে রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মামলাটি পুনঃ তদন্ত করে পুলিশ। তদন্ত শেষে নতুনভাবে বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়। মামলাটি দায়ের করার বছরে এ মামলায় পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে। কিন্তু আদালত সে রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

প্রথম চার্জশিটের সাত আসামির বাইরেও এ মামলায় যাদের নতুনভাবে যুক্ত করা হয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কে এম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপির নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল, শহীদুল ইসলাম অটল, আব্দুল জব্বার প্রমুখ। 

আসামিদের মধ্যে গত ২৫ বছরে ওসিয়া, আলী আজগর, খোকন, তুহিন ও আলমগীর মারা গেছেন।

এমএ/আরআই

আরও পড়ুন