• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০২:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০২:০৭ পিএম

বানভাসীদের বাঁচাতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান ড. কামালের 

বানভাসীদের বাঁচাতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান ড. কামালের 
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম নেতারা- ছবি: জাগরণ

বানভাসী মানুষদের বাঁচাতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন । তিনি বলেন, দেশে কার্যকর গণতন্ত্র নেই। দলমত নির্বিশেষে জনগণকে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন এ আহ্বান জানান। 

‘বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ান’ শিরোনামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণফোরাম। 

ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, বন্যার বিস্তৃতি ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে সঠিক তথ্য তুলে ধরেন। বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তলুন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ বলেন, কুড়িগ্রামে বিগত কয়েকদিন ধরে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আ  আমিনের নেতৃত্বে রিলিফ টিম কাজ করছে। সেখানে অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি। খাবার নেই, ওষুধ নেই এবং খাওয়ার পানি নেই। এবার সাহায্য সংস্থার লোকজনও তেমন তৎপর না। অথচ বন্যার প্রকোপ এবার সবচেয়ে বেশি। আর কুড়িগ্রামে ৬১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। বন্যাদুর্গত ১২ লাখ লোকের জন্য দেড় সপ্তাহে সরকার থেকে বরাদ্দ হয়েছে জন প্রতি মাত্র ১.১২ পয়সা, চাল ৬৬ গ্রাম এবং শুকনো খাবার ৩ হাজার প্যাকেট। এসব রিলিফের নামে প্রহসন।

তিনি বলেন, বন্যা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বাজেটে ৭ হাজার ৯ শত ১৪ কোটি টাকা। এর সঙ্গে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট যোগ করলে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৭শত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এত টাকা বাজেট বরাদ্দ সত্ত্বেও বন্যার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের চালচিত্রের তেমনটি পরিবর্তন হয়নি। হয়েছে গুটিকয়েক কর্মকর্তা, আমলা ও ঠিকাদারদের। যারা বাঁধ নির্মাণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করছে।

অধ্যাপক আবু সাঈদ বলেন, আমরা বলতে চাই, বানভাসী মানুষের নিরাপদ জীবন ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা। সরকারি ত্রাণ তৎপরতা পর্যন্ত নয়-বেসরকারি উদ্যোগও প্রয়োজন, জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণপূর্বক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে রিলিফ কমিটি করে ত্রাণ তৎপরতা চালানো। নদীভাঙা চরাঞ্চলের বিপন্ন মানুষদের জন্য দ্রুত গতিতে ত্রাণ তৎপরতা গ্রহণ।

তিনি দাবি করেন, চিলমারী-রাজীবপুর ও রৌমারি এলাকাসহ অধিকতর বন্যা আক্রান্ত উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করতে হবে এবং বাংলাদেশ- ভারত,নেপাল, ভূটান এমনকি প্রয়োজনে চীনের সঙ্গে একত্রে কার্যকর আঞ্চলিক উদ্যোগে পানি সমস্যার সমাধান ও নদী ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন, সুব্রুত চৌধুরী, জগলুল হায়দায় আফ্রিক, মোহাম্মদ আজাদ হোসেন, লতিফু্র বারি হামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/বিএস 


 

আরও পড়ুন