
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের ‘নগরভবন’ ঘেরাও কর্মসূচিতে বাঁধা দিয়েছে পুলিশ। নগরভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে গোলাপ শাহ মাজার থেকে একটু দূরে আসতেই তারা পুলিশী বাঁধার সম্মুখীন হন। পরে তারা সেখানেই সমাবেশ করেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায়ের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে তারা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণজমায়েত শেষে মিছিল শুরু হয়।
সমাবেশে দুর্নীতি ও অযোগ্যতার অভিযোগ এনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই সিটি মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য নেতৃবৃন্দ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তারা পদত্যাগ না করে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয় সমাবেশ থেকে।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক এম এ সামাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, এসডিপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা শামসুল হক সরকার, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু মাসুম, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, এসডিপির কেন্দ্রীয় নেতা সজল ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাটের কারণে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। অনির্বাচিত সরকার কোনওদিন জনকল্যাণমুখী হতে পারে না। ডেঙ্গুতে মানুষের প্রাণহানিই বড় উদাহরণ।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. এম এ সামাদ বলেন, অবিলম্বে ডেঙ্গু আক্রান্ত সকল ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
টিএস/এসএমএম