
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সাথে নিয়ে কাকরাইলে অবস্থিত তার অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে র্যাব। একই সাথে স্রমাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর মহাখালীর বাসা ও শান্তিনগরে সম্রাটের বড় ভাইয়ের বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার পর কাকরাইলে এ অভিযান শুরু হয়। এর আগে ভোর ৫টায় গ্রেফতার হওয়া সম্রাটকে র্যাব হেডকোর্য়াটারে রাখা হয়। সেখান থেকে সম্রাটকে সাদা মাইক্রোবাসে করে কাকরাইলে নিয়ে আসা হয়।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন সম্রাট ও তার সহযোগী আরমান। আরমান মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ সভাপতি ছিলেন।
গ্রেফতারের দুইজনকেই যুবলীগ থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।
মহাখালীতে অভিযান
রাজধানীর মহাখালী এলাকার ডিওএইচএসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন ওরফে সম্রাটের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে মহাখালী ডিওএইচএসের ২৯ নম্বর সড়কে ও ৩৯২ নম্বর বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) আশিক বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই বাসায় থাকেন সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী।
তিনি জানান, সম্রাটের সঙ্গে তার দুই বছর ধরে যোগাযোগ নেই। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদও হয় নাই। সম্রাট এই বাসায় আসতেন না।
শারমিন জানান, সম্রাটের নেশা জুয়া খেলা। তিনি ক্যাসিনো ব্যবসার সব টাকা দলের জন্য ব্যয় করতেন।
সম্রাট জুয়া খেলতে সিঙ্গাপুর যেতেন সেটি স্বীকার করেছেন শারমিন চৌধুরী। তিনি জানান, সেখানে সম্রাটের নারী বন্ধু ছিল। তার সঙ্গে সময় কাটাতেন সম্রাট।
এসএমএম