
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বলেছেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শনাক্ত ৯ জনকে আটক করেছি। তারা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের পদে আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছি। সেটা পর্যালোচনা করছি।
আটকরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক সেফায়েতুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না।
গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক মুন্নার নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
রোববার রাতে শিবিরকর্মী অপবাদে ফাহাদকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাশুক এলাহী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, রাত ৩টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এইচএস/ এফসি