নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঝিনাইদহ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আবদুল খালেকের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১ জুন) ঝিনাইদহে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারে বাধা এবং সংঘর্ষের ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আবদুল খালেক ও তার সমর্থক কর্তৃক মিছিল-শোভাযাত্রা করে ১৮ মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে, যা ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মো. আবদুল খালেক অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর প্রচারাভিযানে বাধা প্রদান করেছেন। তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চাওয়ার পর তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।’
ইসির সচিব হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে জানান, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঝিনাইদহে নৌকার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।’
আবদুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় ঝিনাইদহে এখন হিজলসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বহাল রয়েছে। এর মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, অন্যজন ইসলামী আন্দোলনের। আগামী ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।