বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সড়কপথে অন্তত ৫০ দেশের মানচিত্র স্পর্শ করবে প্রবাসীদের একটি অভিযাত্রী দল। তারা এ যাত্রার নাম দিয়েছেন ‘সুবর্ণযাত্রা’।
আয়োজক সংগঠন চিন্তা ও চাকা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এটি নরডিক অঞ্চলের প্রবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘‘আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নরওয়ের নর্থ ক্যাপ থেকে এই যাত্রা শুরু হচ্ছে। বিশ্বের ৫০টি দেশের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর বার্তা পৌঁছে দেয়ার মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌধে এই অভিযাত্রার সমাপ্তি টানা হবে।’’
সংগঠনের মুখপাত্র মতিউর রহমান জানান, ইউরোপ ও এশিয়ায় অন্তত ২০০ স্বেচ্ছাসেবী এই আয়োজন বাস্তবায়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যাত্রা শুরু হবে নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ের নর্থ ক্যাপ থেকে। শোভাযাত্রাটি দক্ষিণ বরাবর বাংলাদেশমুখে যাত্রাপথে এশিয়া এবং ইউরোপের প্রায় ৫০টি দেশ অতিক্রম করবে। আমাদের বিশ্বাস এই শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে।’’
যাত্রার প্রতিটি বিরতিতে থাকবে তথ্যচিত্র প্রদর্শন, সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশন, স্থানীয় ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন। শিশুদের অংশগ্রহণে কেক কাটার আয়োজনও থাকবে এই কর্মসূচিতে।
চিন্তা ও চাকা জানিয়েছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী শিশুদের কাছে তুলে ধরতে চায়।
অভিযাত্রা শেষে ১৭ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে আয়োজন করা হবে বিজয়ের অনুষ্ঠান।
সংগঠনটি জানিয়েছে, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর দেশের সব জেলাকে এক সুতোয় বাঁধতে চান শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। এতে যুক্ত হবেন জেলার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।