দেশে এখন গ্যাসের ঘাটতি প্রায় দেড়শ কোটি ঘনফুট। এমন অবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার থেকে বাড়তি গ্যাস পাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। সেই সাথে সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন অংশীদারি চুক্তির সংশোধনী এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। তবে এসব উদ্যোগের সুফল পেতে সময় লাগবে ২ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ আপাতত গ্যাস সংকট কাটছে না।
দৈনিক দেশের গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া যায় ২৩০ কোটি ঘনফুট। পাশাপাশি এতদিন আমদানি হতো ৭০-৮০ কোটি ঘনফুট এলএনজি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে প্রতি ইউনিটের দাম ৪০-৪৫ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয় স্পট মার্কেটের গ্যাস আমদানি।
এখন ১৫ ডলার দরে কাতার-ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে গ্যাস আসছে ৩৫ থেকে ৪০ কোটি ঘনফুট। সব মিলিয়ে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ অনেক কম হওয়ায় দেশের শিল্পখাতে গ্যাস সংকট চরমে। তাই আগামী ২০২৫ সাল থেকে বছরে বাড়তি ২ মিলিয়ন টন কাতারের এলএনজি কিনতে চায় বাংলাদেশ।
২০২৫ সালর পর কি ভাবে গ্যাস আনবো সেই বিষয়ে কাতারের সাথে যে চুক্তি করতে যাচ্ছি জানিয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তাদের কাছে এখন কোনও গ্যাস নেই ।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর এবং আগামী বছর নাগাদ গ্যাস কিভাবে পাওয়া যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সাথে আলোচনা চলছে।
বিশাল সমুদ্রসীমায় গ্যাস পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরে বলছেন অনুসন্ধানে সরকারের তৎপরতা কম। তবে বর্তমান সংকটে সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এজন্য বহুজাতিক তেল গ্যাস কোম্পানি- আইওসি’র হিস্যা ও দাম বাড়ছে মডেল উৎপাদন অংশীদারি চুক্তিতে।
স্থলভাগে গ্যাসের উত্তোলন বাড়াতে আগামী তিন বছরে নতুন এবং ওয়াকওভার মিলিয়ে মোট ৪৬ টি কূপ খননের পরিকল্পনা আছে পেট্রোবাংলার।
জাগরণ/জ্বালানি/এসএসকে