শুক্রবার নবাগত বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফেডারেশন কাপের শিরোপা জয় করে নেয় আবাহনী লিমিটেড ঢাকা। তবে ফাইনালকে ছাপিয়ে খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন মাঠে দুদলের খেলোয়াড়দের মাঝে মারামারি।
ফুটবল মাঠকে যেন আবারও কলঙ্কিত করলো আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলের ব্যবধানে বসুন্ধরা কিংস এগিয়ে থাকলেও, দ্বিতীয় হাফেই ম্যাচের চিত্র পুরো উলটে যায়। নাইজেরিয়ান সানডে চিজোবার দুই গোল এবং বেলফোর্টের এক গোলের কল্যাণে বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে তারা।
তবে ঝামেলা বাঁধে ম্যাচের শেষের দিকে এসে। ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকার পরও আক্রমণ চালাতে থাকে আবাহনী। ঠিক তখনই সানডেকে মারাত্মকভাবে ফাউল করে বসে কিংসের এক খেলোয়াড়। মারাত্মক ইনজুরিতে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সে করেই মাঠ ছাড়তে হয় সানডেকে।
তখন থেকেই দুদলের খেলোয়াড়দের মাঝে শুরু হয় পেশিশক্তির খেলা। ম্যাচের ইনজুরি সময়ের কিছুক্ষণ আগে বল নিয়ে লড়াই করার সময় আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ জীবন হাত দিয়ে কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরার গলায় চড় দেন। আর তাতেই রেগে জীবনকে লাথি মেরে বসেন সুশান্ত। তবে সেখানেই থামেননি তিনি। জীবন মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তাকে এলোপাতাড়ি লাথি দিতে থাকেন সুশান্ত।
এদিকে দুদলের কয়েকজন তাদের থামানোর চেষ্টা চালালেও পেছন থেকে আবাহনীর মামুন মিয়াঁ উড়ে এসে লাথি মেরে ফেলে দেন সুশান্তকে। বিষয়টি দেখে রেগে যান বসুন্ধরা অধিনায়ক তৌহিদুল আলম সবুজও। হাতাহাতি চলতে থাকে আরও কতক্ষণ। এদিকে পরিস্থিতি বেসামাল দেখে মাঠে পুলিশও চলে আসে। অন্যদিকে মামুন মিয়াঁকে থামাতে আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুও মাঠে নেমে পড়েন। চড়-থাপ্পর মেরে মামুন মিয়াঁকে ঠান্ডা করেন তিনি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও মাঠে গড়ায় খেলা। তবে তার আগে মারামারিতে জড়িত চার খেলোয়াড়কেই লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করেন রেফারি। আবাহনী থেকে লাল কার্ড দেখেন মামুন মিয়াঁ ও নাবিব নেওয়াজ জীবন। এদিকে বসুন্ধরা কিংস থেকে লাল-কার্ড দেখেন বসুন্ধরা অধিনায়ক তৌহিদুল আলম সবুজ ও সুশান্ত ত্রিপুরা।
এসএইচএস