• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০১৯, ০৩:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৯, ২০১৯, ১০:১৪ পিএম

যেকোনো উপলক্ষে বাংলাদেশে আসতে চাই: গ্রিনিজ 

যেকোনো উপলক্ষে বাংলাদেশে আসতে চাই: গ্রিনিজ 
কুর্মিটোলা গলফ মাঠে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন গর্ডন গ্রিনিজ। ফটো: টিভি থেকে সংগৃহীত

 

ক্ষুধা, দরিদ্রতা, রাজনৈতিক হানাহানি, বন্যার মতো নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হওয়া বাংলাদেশ গর্ব করার মতো উপলক্ষ পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে খেলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বিশ্বকে ইতিবাচক বার্তা জানান দিয়ে শিরোপা জিতে ট্রফি উঁচু করে বাংলাদেশ মেতেছিল উল্লাসে। 

এমন অর্জন জাতি পেয়েছিল সম্মিলিত প্রয়াসের ফসল হিসেবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইতিহাসের পাতা উল্টাতে গেলে অনেকের অবদানের কথাই উঠে আসবে। তবে একজনের অবদানের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করতেই হবে। তিনি হলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্থানে চিরস্মরণীয় এক নাম হয়ে যাওয়া গর্ডন গ্রিনিজ।

খেলোয়াড়ি জীবনে গ্রিনিজ ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগের সেই দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরের পর পেশা হিসেবে তিনি কোচিংকে বেছে নেন। দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ দলের এবং দেখিয়ে দেন কোচ হিসেবে নিজের জাত। 

সাবেক ক্যারিবীয়ান এই গ্রেট হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের নয়নের মণি। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর পেয়েছিলেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া টাইগারদের কোচের দায়িত্বও ছিল তার কাঁধে। 

আপাতত গ্রিনিজ পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন বেশিরভাগ সময়, ঘুরছেন দেশ বিদেশেও। জীবনে বহু দেশ ঘুরলেও গর্ডন গ্রিনিজের মনের বিশেষ জায়গায় শুধুই বাংলাদেশের নাম। কারণ এই দেশটি সবসময় তার দুর্বলতার জায়গা। কেনই বাঁ থাকবে না, এটা তো তারও দেশ। 

অতি সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ গলফ ওপেন টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছিলেন গ্রিনিজ। স্বাভাবিকভাবেই তার আগমনকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যম কর্মীদের কৌতূহল এবং সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য তোড়জোড় পড়ে যায়। তাই গলফের থেকে তাকে ক্রিকেট নিয়েই অনেক কথা বলতে হয়েছে। 

বাংলাদেশে আসতে পেরে আনন্দিত গ্রিনিজ চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রত্যাশিত কিংবা অপ্রত্যাশিত যেভাবেই হোক সময় কিন্তু কেটে যায়। তবে আমি চেষ্টা করি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে। এই যেমন আবারো এক বছরের কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে এলাম। আমি আবারো যেকোনো উপলক্ষে বাংলাদেশে আসতে চাই। 

ভালোবাসার দ্বিতীয় নাম গলফ- এমনটি জানিয়ে গ্রিনিজ বলেন, ভালো লাগার তালিকায় ক্রিকেটের পর আমার কাছে সেরা গলফ। শরীর ও মন ভালো রাখতে আসলে এর বিকল্প নেই। যদিও এখানে সবার অংশ নেয়ার সুযোগ সীমিত।  

আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টাইগারদের খেলার উপর নজর রাখবেন জানিয়ে গ্রিনিজ বলেন, বাংলাদেশের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ সব ফরম্যাটের ম্যাচেই চোখ রাখি। সবগুলো দেখা সম্ভব না হলে হাইলাইটস দেখি। আমি যেখানে যেভাবেই থাকি না কেন, বাংলাদেশের জন্য শুভ কামনা থাকবে।  

আরআইএস