
বুন্দেস লিগায় ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জেতা বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি গায়ে শেষবারের মতো খেলতে নেমে রূপকথার মতোই ফুটবলকে বিদায় জানালেন ফরাসি তারকা ফ্রাঙ্ক রিবেরি ও ডাচ তারকা আরিয়েন রোবেন।
৬১ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি। আর ৭২ মিনিটেই তিনি কোমানের পাসে বল পেয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে দুইজনকে কাটিয়ে গোল করে বসেন এবং উদযাপনের সময় নিজের জার্সি খুলে ফেলেন।
বলদি খেলোয়াড় হিসেবে গোল পেয়েছেন আরিয়েন রোবেনও। ৬৭ মিনিটে মাঠে নামা রোবেন ৭৮ মিনিটের সময় ডেভিড আলাবার পাসে বল পেয়ে ডি বক্সের একদম কাছ থেকে বাঁ পায়ের কিকে বল জালে জড়িয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন।
বাভারিয়ান্দের হয়ে একসঙ্গে এক দশক ধরে মাঠ কাঁপানো রিবেরি ও রোবেনের জন্য স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের শেষ ম্যাচটি ছিল ভীষণ আবেগের। তাই তো এই দুই ফুটবলার একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে নিজেদের বিদায়ের অনুভূতি ভাগাভাগিও করে নেন। এ সময় দুইজনই বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।
রিবেরি ও রোবেনকে সম্মান জানিয়ে স্টেডিয়ামে থাকা জায়ান্ট স্ক্রিনে তাদের খেলোয়াড়ি জীবনের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করা হয়। বায়ার্নের সমর্থকরা গ্যালারিতে বিশাল এক ব্যানার নিয়ে হাজির হয়ে এই দুই খেলোয়াড়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। ব্যানারে লেখা ছিল- বিদায় এবং ধন্যবাদ।
ম্যাচ শুরুর আগে ৩৬ বছর বয়সী রিবেরি ও ৩৫ বছর বয়সী রোবেন মাঠে প্রবেশ করা মাত্র সতীর্থরা, বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট ও সিইও হাততালি দিয়ে তাদের অভিবাদন জানান। এ সময় দর্শকরাও তাতে শামিল হন।
২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৮১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ফ্রাঙ্ক রিবেরি। ফ্রান্সের জার্সি গায়ে ১৪টি গোল করেছেন এই উইঙ্গার। ক্লাব ফুটবলে তার মোট গোল সংখ্যা ১০৯, যার মধ্যে বায়ার্নদের হয়ে করেছেন ৮৬টি গোল।
অপরদিকে, নেদারল্যান্ডের হয়ে ২০০৩ সালে অভিষিক্ত আরিয়েন রোবেন ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন। ৯৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই উইঙ্গার ডাচদের হয়ে গোল করেছেন ৩৭টি। বায়ার্নের আগে রোবেন চেলসি ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো বড় ক্লাবেও খেলেছিলেন। ক্লাব ফুটবলে তার মোট গোল সংখ্যা ১৪৯, যার মধ্যে বায়ার্নের হয়ে করেছেন ৯৯টি।
আরআইএস