ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির নিয়মানুযায়ী, কোনো দেশের সরকার সেদেশের ক্রিকেট বোর্ডের উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আর যদি কোনো বিষয়ে করেও থাকে, তবে সেই ক্রিকেট বোর্ড শাস্তি হিসেবে হারাবে আইসিসির সদস্যপদ। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ হতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও।
এবার সেই নিয়মের বেড়াজালে পড়ে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হতে চলেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। গত ২২ জুন জিম্বাবুয়ে সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দুর্নীতির অভিযোগ এনে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ডকে ভেঙে দেয়। যা আইসিসির আইনের পরিপন্থী।
এ কারণেই, আইসিসি তাদের পরবর্তী সভায় ক্রিকেট বোর্ডের উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে জিম্বাবুয়েকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার ঘোষণা করতে পারে। এদিকে ক্রিকেট থেকে জিম্বাবুয়ে যদি নিষিদ্ধ হয় তবে আসন্ন পুরুষ ও নারী টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে দলটির অংশ নেয়া পড়বে ঝুঁকির মুখে।
যদিও জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটারদের এখন আশার আলো দেখাচ্ছে নেপাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কেননা দেশ দুটির ক্রিকেট বোর্ড আইসিসি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও তারা আইসিসির অধীনে এখনো ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে পারছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে দুর্নীতির অভিযোগে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিভমোর মাকোনিকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জানায়, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সভাপতির পদে তাভেঙ্গোয়া মকুহলানির পুনরায় চার বছর মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ ও বোর্ডের নীতিবিরুদ্ধ।
সে কারণে নতুন বোর্ড কমিটি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত একটি অন্তর্বর্তী কমিটিও গঠন করে দেয় জিম্বাবুয়ে সরকার। বর্তমান কমিটির সদস্যরা হলেন ডেভিড এলমান-ব্রাউন, আহমেদ ইব্রাহিম, চার্লি রবার্টসন, সাইপ্রিয়ান মান্দেঙ্গে, রবার্টসন চিন্যেঙ্গেত্রে, সেকেসাই নোকওয়ারা এবং ডানকান ফ্রস্ট।
এসএইচএস